আজকের শিরোনাম :

বালিয়াডাঙ্গীতে ইউপি সদস্যকে মারপিঠ : বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:১৮

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কলন্দা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ভানোর ইউপির ৮ নং ব্লক সদস্য আবুল কাসেম । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসি।  

 আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার কলন্দা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীরা ফেস্টুন, প্লাকোড হাতে নিয়ে এ কর্মসূচী পালন করে। এ সময় “গাজাখোর শিক্ষক সবুরের বিচার চাই, বিচার চাই” বলে স্লোগান দেয় স্থানীয়রা। মারপিটের শিকার ইউপি সদস্য বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  

বিক্ষোভ কর্মসূচীতে স্থানীয়রা জানায়, ওই সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুরকে বিদ্যালয়ের কাজে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিতে গেলে চড়াও হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সামনেই মারধর করে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে মারধরের ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেনি তারা।

 স্থানীয়রা অভিযোগ করে করেন সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসেন। প্লাকোড গুলোতে সহকারী শিক্ষককে গাঁজাখোর বলেও সম্বোধন করেন তারা। বিষয়টির দ্রুত সমাধান না হলে বিক্ষোভ কর্মসূচীর পাশাপাশি বিদ্যালয়ের তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন স্থানীরা।

ইউপি সদস্য আবুল কাসেম জানান, অনেক মনুষের সামনে আমাকে মারপিঠ করেছে। এলাকাবাসী বিষয়টি সমাধানের জন্য বিক্ষোভ করেছে। তবে আমিতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক চৌধুরী জানান, বিষয়টি আন্দোলনে রুপ নিয়ে ভাবতে পারিনি। উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিষয়টি বিকালে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি রশিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে যাতায়াতসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুর। এর আগে অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে । উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহিদ হোসেন  জানান, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল হক জানান জানান, শিক্ষকদের মধ্যে অন্তদ্বন্দের কারণে এঘটনা ঘটেছে । গতকাল রবিবার জাতীয় পতাকা দেরি করে উত্তোলন করাকে কেন্দ্রকরে উত্তেজনা বিরাজ করলে পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন ।

এর আগে গতকাল  রবিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে পতাকা দেরী করে উত্তোলন করতে গেলে মোবাইল ফোনে ছবি তুলেন সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুর। এ সময় ছবি তোলাকে কেন্দ্র মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুর, সুলতানা রাজিয়া ও স্কুল পরিচালনা কমিটির  ইউপি সদস্য আবুল কাসেম আহত হন।
 

এবিএন/রমজান আলী/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ