আজকের শিরোনাম :

ধর্ষণের মামলা না নিয়ে থানায় ধর্ষকের সঙ্গে গৃহবধূর বিয়ে!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৭

গণধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূর মামলা না নিয়ে এক ধর্ষকের সঙ্গে থানায় তার বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিন সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর স্বামী থাকা সত্বেও তার অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় পুলিশ থানায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

পাবনা সদর থানায় গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নির্যাতনের শিকার ওই নারী।

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে পুলিশ তাদের বিয়ে দিয়েছে।

গৃহবধূর অভিযোগ, পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর যশোদল গ্রামে ওই নারী স্বামী ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ২৯ আগস্ট রাতে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রাসেল আহমেদ চার সহযোগীকে নিয়ে ওই নারীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।

গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানালে ৫ সেপ্টেম্বর পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে গৃহবধূ বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে রাসেলকে আটক করে পুলিশ। তবে বিষয়টি মামলা হিসেবে এজাহারভুক্ত না করে স্থানীয় একটি চক্রের মধ্যস্থতায় স্বামীকে তালাক দিয়ে ধর্ষক রাসেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে ঘটনার নিষ্পত্তির চেষ্টা করে পুলিশ।

গৃহবধূর বাবা জানান, আমার মেয়ে অপহৃত হওয়ার কয়েকদিন পর তাকে খুঁজে পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে থানায় অভিযোগ দেই। পুলিশ আমাদের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করে মেয়েকে থানা হেফাজতে রেখে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে জানতে পারি থানায় রাসেলের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা সামাজিকভাবে অপদস্থ হয়েছি। আমরা ধর্ষণের বিচার চাই।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলে বলছেন, স্বামী ও তিন সন্তান থাকা অবস্থায় কি করে থানায় বিয়ের ঘটনা ঘটলো। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক বলেন, গৃহবধূ প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেন। ওই দিন রাতে আপস-মিমাংসায় তাদের বিয়ে হয়েছেছ। থানায় বিয়ের ঘটনার প্রশ্নই ওঠে।এর সঙ্গে পুলিশ জড়িত নয়।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ