আজকের শিরোনাম :

নুসরাত হত্যা

মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ উপেক্ষা করে অন্ত:সত্ত্বা মনিকে আদালতে হাজির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৭

মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ উপেক্ষা করে নুসরাত হত্যা মামলার আসামী নয় মাসের অন্ত:সত্ত্বা কামরুন নাহার মনিকে আজও আদালতে হাজির করা হয়েছে। গতকাল শনিবার(৭ সেপ্টেবর) তিন সদস্যদের মেডিকেল বোর্ড ডেলিভারী না হওয়া পর্যন্ত মনিকে পুর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও তাকে মামলারবিচার কাজে অংশ নিতে আদালতে হাজির করা হয়।  

মনির আইনজীবী আহসান কবির বেঙ্গল জানান, অসুস্থ্যতার বিষয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি আদেশ দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ। এমন আদেশের পর কারা কর্তৃপক্ষ এ্যাম্বুলেন্সযোগে আসামীকে আনা নেওয়ার সক্ষমতা নেই বলে আদালতকে অবহিত করেন।

জানা গেছে, স্মারক নং-সিএসএফ মেডিকেল বোর্ড/১৯/তারিখ-০৪/০৯/১৯ ইং মোতাবেক শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার দিকে ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবু তাহের,জুনিয়র কনসালটেন্ট(গাইনি) ডাক্তার রোকশানা বেগম, ডাক্তার মো: ছায়েদুর রহমানের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ফেনী কারাগারে গিয়ে হাজতী নং-১০৬৯/১৯ কামরুন নাহার মনির শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন।

তারপর তারা মনির শারীরিক আবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত  গ্রহন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তারা উল্লেখ করেন, কামরুন নাহার মনি, বয়ষ-১৯। সে ৩৭ সপ্তাহের অন্ত:সত্ত্বা । আগামী ২৪ সেপ্টেম্বের তার সন্তানের প্রসবের সম্ভবনা রয়েছে। তার শারীরিক পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষন করে মেডিকেল বোর্ড সিন্ধান্ত নেন যে কোন চলাফেরা মনি ও তার সন্তানের জন্য ঝুকিপূর্ন ।তারা ডেলিভারী সময় পর্যন্ত তাকে পুর্নাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন।

ফেনী  আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেলর অফিসার ডাক্তার আবু তাহের জানান, মনির শারীরিক যে অবস্থা তাতে যে কোন ধরনের চলাফেরা মনি ও তার অনাগত সন্তানের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ন, চলাফেরা করলে  মা ও সন্তানের মৃত্যুর কারন হতে পারে।

মনির আইনজীবী আহসান কবির বেঙ্গল আরো জানান, এ অবস্থায় তাকে আদালতে আনা নেওয়ার কারনে যে কোন দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। মামলার অভিযোগ গঠনের পর থেকে প্রতি কার্য দিবসে তাকে আদালতে আনা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার বিষয়টি আদালতকে বার বার অবহিত করা হয়েছে। প্রসবের সময় পর্যন্ত একাধীকবার তার জামিন আবেদন করা হলে আদালত না মঞ্জুর করেন। এমনকি তাকে ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়ে মামলার বিচার কাজ পরিচালনার আবেদন করা হলে আদালত সেটাও না মঞ্জুর করেন।

মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হাফেজ আহাম্মদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ ব্যাপার কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে জানতে ফেনী জেলা কারাগারের সুপার রফিকুল কাদেরের মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি,এমনকি  ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর দেননি।


এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ