ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪৯
ভোলার মনপুরা উপজেলায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে সহপাঠিকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় মনপুরা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ওই কলেজের এক ছাত্রী।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মনপুরা থানায় মামলা দায়েরের পর গতকাল শনিবার ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আজ রবিবার ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা করানোর কথা রয়েছে। এ দিকে অভিযুক্ত রাকিব হাসান পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাকিবের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কলজেছাত্রী লিখিত অভিযোগে লিখেছেন ছাত্রললীগ নেতা মো. রাকিব হাসান কলেজ যাওয়া আসার পথে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। সে প্রথমে পাত্তা দেয়নি। পরে বিয়ে করবে আশ্বাস দিলে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ফোনালাপ হয়। গত ৪ মাস আগে পহেলা বৈশাখ রাকিব ছাত্রীকে মনপুরা হাসপাতালের ছাদে চিলেকোঠায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে ও রাকিবের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাঁধা দিলে না বললে বিয়ের প্রলোভন দেখাতো।
পরে চার মাস চলে গেলেও বিয়ের কোনো নাম গন্ধ নেই দেখে ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বাধ্য হয়ে এ ঘটনা রাকিবের পরিবারকে জানাই। এতে রাকিব বিয়ে করবে না বলে ছাপ ছাপ জানিয়ে দেয় ও ছাত্রীকে কয়েকবার মারধর করে। পরে বাধ্য হয়ে বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
ছাত্রী বলেন তারা চার বোন। ভাই নেই। তাদের বাবা দিনমজুর। সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলে বাবা-মা আরও সমস্যায় পড়তো। আর মৃত্যু কোনো সমাধানের পথ না। তাই বিচারের দাবিতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বসির আহমেদ বলেন তিনি ছাত্রীর অভিযোগপত্র জমা নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোরকান আলি বলেন মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত ও আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এবিএন/আদিল হোসেন তপু/গালিব/জসিম
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বসির আহমেদ বলেন তিনি ছাত্রীর অভিযোগপত্র জমা নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোরকান আলি বলেন মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত ও আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এবিএন/আদিল হোসেন তপু/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ