আজকের শিরোনাম :

বেনাপোলে পাওনা টাকা আদায়ে প্রাণনাশের হুমকি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪৩

চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা আ. করিম দেওয়ান ১ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায়ে প্রাণনাশের হুমকিতে পড়েছেন। ভূক্তভোগী আ. করিম বক্স দেওয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। 

মো. আর রাজ্জাক পিং মো. সাহেব আলী সাং গাজীপুর, ডাকঘর বেনাপোল, থানা বেনাপোল পোর্ট, জেলা যশোর। ২৫০ টাকার চুক্তি পত্রের মাধ্যমে গত (১০/৫/২০১৬) তারিখ শর্ত সাপেক্ষে আমার নিকট থেকে ১,৫০,০০০ টাকা গ্রহণ করে। শর্তে উল্লেখিত প্রথমে ১ মাস এবং পরে আরও ১ মাসের সময় নিয়েও আজও পর্যন্ত আমার টাকা ফেরত পায়নি। 

বারবার আব্দুর রাজ্জাকের নিকট টাকার জন্য তাগাদা দিলেও ফেরত তো দিচ্ছেই না বরং গত (২৮/৮/২০১৮) তারিখ একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ১০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর জাল করে আমাকে আসামি করে ১,০০,০০০ টাকা দাবি করে। 

চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেনাপোল পোর্ট আমলী যশোর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। শুধু তাই নয় পোর্ট থানাধীন গয়ড়া গ্রাম এলাকার কিছু ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

মো. করিম বক্স এর জন্মস্থান চাঁদপুরে হলেও নানি বাড়ি ছিল বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কাকমারি গ্রামের ৪ নাম্বর ওয়ার্ডে। নানি মারা যাওয়ার পর নানীর নামে থাকা কিছু সম্পত্তি করিম বক্সের মার নামে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়ার কথা কিন্তু করিম বক্স এর মা মারা যাবার পর করিম বক্স এর অন্য দুই খালা তঞ্চকী কায়দায় নব্বই এর রেকর্ডে কাগজপুকুর মৌজায় ২১৮৭ এবং ২২২৯ এই দুই দাগে মোট ৩৪ শতক জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেয়। ফলে ভুক্তভোগী করিম বক্সের মা ওই সম্পত্তি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হন। জমি ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে করিম বক্স তার দুই খালার নিকট দাবি করায় তারা এক পর্যায়ে ফেরত দিতে স্বীকার যায়। 

রেকর্ড সম্পর্কিত ভুলের কারণে করিম বক্সের মায়ের সম্পত্তি রেকর্ড সংশোধনের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে প্রস্তাব দেন। টাকা আত্মসাতকারী আব্দুর রাজ্জাক গত (১০/৫/২০১৬) তারিখ ২৫০ টাকার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরিত সাক্ষীগণের মধ্যে ১ম সাক্ষী মো. আব্দুল মালেক এর সহায়তায় আব্দুর রাজ্জাক দাবিকৃত ১,০০,০০০ টাকা আত্মসাৎ করে। জমি এবং টাকার জন্য করিম বক্স ঐ এলাকায় বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন।

এবিএন/মো. আয়ুব হোসেন পক্ষী/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ