আজকের শিরোনাম :

মেলান্দহে নদী ভাঙ্গনের হুমকীর মুখে ৩ গ্রামের মানুষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৪৯

জামালপুরের মেলান্দহের সাদিপাটি-পচাবহেলা ও বল্লভপুর গ্রাম নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। 

এলাকাবাসী জানিয়েছেন গত তিন বছর যাবৎ বলিদাখালি নদী ভাঙ্গনে হাইস্কুল, বাজার এবং মসজিদসহ বহু ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। বাস্তুহারা হবার আতংকে আছেন কয়েক হাজার মানুষ।

এক দিকে যমুনার ভাঙ্গন, অপরদিকে উজানে বাঁধ-রাস্তা নির্মাণের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে বন্যার শুরুতেই বলিদাখালি নদীতে প্রবল ¯্রােত পড়ে গভীরতাও বেড়ে গেছে বহুগুনে। 

মেলান্দহ-ইসলামপুরের সীমান্তবর্তী এই বলিদাখালি নদী দিয়ে ব্রহ্মপুত্র-ঝিনাই-মাদারদহ হয়ে বন্যার পানি সরিষাবাড়ি ও সিরাজগঞ্জের যমুনায় নেমে যায়। পানি বৃদ্ধির সাথেই নদী ভাঙ্গনও শুরু হয়। তাই শুস্ক মৌসুমে পাইলিংয়ের কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সাদিপাটি গ্রামের সোহেল রানা জানান নদী ভাঙ্গনের ফলে সাদিপাটি হাইস্কুল নদীতে চলে গেছে। যেকোন সময় প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসাসহ বসতবাড়িও নদীতে চলে যাবে। এই এলাকাটি রক্ষার জন্য পাইলিং দরকার। 

যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ জানান সাদিপাটি ব্রিজটিও ধ্বসে গেছে। হাট-বাজার নদীতে বিলীন হয়েছে। মসজিদ-মাদ্রাসা-প্রাইমারি স্কুলসহ বসতবাড়ি হুমকীতে আছে। এখন বসতবাড়ি হারানোর আতংকে আছি।

পচাবহেলার আ. খালেক মেম্বার জানান গত দুই বছরে এপার-ওপারের বহু বাড়ি-ঘর নদীতে চলে গেছে। গ্রাম ৩টি রক্ষায় পাইলিং দরকার। স্থানীয়রাই বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর প্রাণান্তর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান এলাকাকে রক্ষা এবং ব্রিজটি সচল করার জন্য বন্যা পূনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অচিরেই ফল পাব।

এবিএন/মো. শাহ্ জামাল/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ