মানিকগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় ডেঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৫ দিনের সন্তান রেখে মারা গেল চামেলি আক্তার নামে এক গৃহবধূ। 

নিহত চামেলির বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালজানা গ্রামে। সে ওই এলাকার মৃত মোহন খানের মেয়ে। তার ২৫ দিন বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। চামেলি আক্তার মানিকগঞ্জ মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের সহকারী নার্স ছিল।

গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর মগবাজারের রাজমনো স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে গ্রামের বাড়িতে গৃহবধূর মরদেহ পৌঁছালে স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহতের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন জানায় জ্বর হওয়ায় তার বোনকে প্রাথমিকভাবে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। ওই দিনই তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। ভোরে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। দ্রুত তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকায় পরিচিত একজনের পরামর্শে তাকে পাশের একটি কমিউনিটি হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা রোগীকে দ্রুত আইসিইউতে নেয়ার পরামর্শ দেয়। পরে রাজধানীর মগবাজারের রাশমনো স্পেশালাইজড হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় চামেলিকে। এরপর দেয়া হয় লাইফ সাপোর্টও। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

চামেলি আক্তারের স্বামী সবুজ মিয়া জানায় গত বছরের আগস্ট মাসে তাদের বিয়ে হয়। মাত্র ২৫ দিন আগে চামেলির কোলজুড়ে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। যার নাম রাখা হয়েছে সায়মন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মা হারা হল তাদের পুত্র সায়মন।

চামেলি আক্তারের মা দুলালী বেগমও ডেঙ্গুতে আক্রাš। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় তাকে মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ বারের মতো মেয়েকে দেখাতে তাকে হাসপাতালে থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।

এবিএন/মো. সোহেল রানা খান/গালিব/জসিম