সেনবাগের গৃহবধূকে বসুরহাটে হত্যা : স্বামী-শ্বশুর গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:১৮
সেনবাগের নবীপুর ইউপির বিষ্ণপুর গ্রামের শিরিন সুলতানা শেলী (২৫) নামে এক গৃহবধুকে বসুরহাটে স্বামী-শশুর নির্যাতন করে হত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে শেলীর শ্বশুর কাউসার মন্জিলে এ ঘটনা ঘটে। শেলী সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের ডা, এমামের কন্যা। ৫ বছর আগে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির কাউসারের পুত্র ইমাম উদ্দিন শাহপরানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় শেলীর। সামছুদ্দিন সোহান (৪) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহত শেলীর স্বজনরা জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী শ্বশুর ও ননদরা যৌতুকের দাবীতে প্রায় সময়ই তাকে নির্যাতন করতো। এ ঘটনায় বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক ও অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার রাতে নেশাখোর স্বামী শাহপরান সহ পরিবারের লোকজন শেলীকে নির্মম ভাবে নির্যাতন চালায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শেলী মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে। পরে স্বামী শ্বশুর সহ পরিবারের লোকজন শেলীর গলায় রশি লাগিয়ে লাশ ঘরের বুতুরের সাথে আটকিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারনা চালায়। এ দিকে স্বামী শাহপরান সহ পরিবারের লোকজন পুলিশ আসার আগেই লাশ নামিয়ে ফেলেন।
একপর্যায়ে শেলী আত্মহত্যা করেছে বলে শাহপরান শ্বশুর ডা: এনামকে টেলিফোনে জানালে তারা ঘটনাস্থলে পৌছেই শেলীকে বসুরহাট সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। স্বামী শ্বশুর তাড়াহুড়ো করে লাশ দাফনের চেষ্টা করায় সন্দেহ বেড়ে যায় পিতার পরিবারে। শেলীর দেহে নির্যাতনের চিহ্ন থাকায় ডা: এনাম ও তার স্বজনরা হত্যার অভিযোগ এনে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে নানা নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালীর মর্গে পাঠায় এবং স্বামী শাহপরান ও শ্বশুর হুমায়ুন কবির কাউসারকে গ্রেফতার করে।
চাঞ্চল্যকর শেলী হত্যার ঘটনায় বসুরহাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতির বিষয়টি রাতে নিশ্চিত করেছেন নবীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উল্যা বিএসসি।
এবিএন/ফিরোজ আলম/জসিম/তোহা
এবিএন/ফিরোজ আলম/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ