মেলান্দহে রাস্তার বেহাল দশায় এলাকাবাসী দুর্ভোগে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:৪২
জামালপুরের মেলান্দহের রেখিরপাড়া রাস্তাটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় ৩ কি. মি. বেহাল রাস্তার এই চিত্র দেখা গেছে। হাজরাবাড়ি পৌরসভা এবং বেলতৈল বাজার থেকে রেখিরপাড়ায় ২০ টাকা রিক্সাভাড়া। রাস্তা কর্দমাক্ত থাকায় হাটুরেদের ২০ টাকার ভাড়া ২০০-৩০০ টাকায় যাতায়াত করতে হয়। বাস্তবে দেখলে মনে হবে এটি রাস্তা নয়, কাদায় হালচাষকৃত জমি।
ফুলকোচা, ঘোষেরপাড়া এবং ঝাউগড়া ইউনিয়নের সাথে রেখিরপাড়ার সংযোগ সড়ক হওয়ায় আশপাশ এলাকাবাসিকেও চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। “রাস্তা নাদিলে ভোট নয়” এমন দাবিতে একবার আন্দোলনও করেছিল এলাকাবাসী। নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা এই গ্রামের রাস্তা পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর খুজ নেয় না।
সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। মুমূর্ষু রোগী-কিংবা গর্ভবর্তী মহিলাদের চিকিৎসার প্রয়োজনে যানবাহন আসে না। অসুস্থ গবাদি পশুর চিকিৎসক আসলেও ভিজিট দিতে হয় বেশি। ছেলে-মেয়ের বিয়ে শাদির ক্ষেত্রেও রাস্তা-ঘাটের অজুহাতে ভালো সমন্ব জুটে না। কর্তৃপক্ষ এই রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নিবেন এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। উপজেলা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান বহুল আলোচিত এই রাস্তা পাকাকরণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর এবং পিআইবি, বাসসের সাবেক এমডি এবং ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব প্রয়াত আমানুল্লাহ কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আ. হাকিম, ছড়াকার-গীতিকার তানসিন মতিন মাস্টারসহ বহুগুণীর জন্ম এই গ্রামে।
কিংবদন্তি আছে মহিরামকুলের জমিদার ছতিশ চন্দ্র রায় বাহাদুরের কর্মচারী রেখরি মন্ডলের তৎপরতায়, ইংরেজদের দাবি ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ শেষে কোষাগারে অর্থ উদ্বৃত্ত দেখানো হয়। এতে ছতিশ চন্দ্র রায় বাহাদুর খুশি হয়ে এই রেখরি মন্ডলকে জোতদারী দিয়ে যান। রেখরি মন্ডলের নামানুসারে রেখিরপাড়ার নামকরণ হয়। এই গ্রামের ‘অটুট’ কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন বিশালাকার শহীদ মিনারও নির্মাণ করেছে।
এবিএন/মো. শাহ্ জামাল/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ