আজকের শিরোনাম :

নরসিংদীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:০৬

নরসিংদীতে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মায়ের মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার বাসাইল এলাকার মুক্তি জেনারেল (প্রা:) হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত প্রসূতি নাদিরা আক্তার (২৩) সদর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মাহাবুবুর রহমান আপেলের স্ত্রী।
 
নাদিরার পরিবার জানায়, রবিবার রাত ২ টার দিকে উক্ত হাসপাতালে ডা. ফরিদ উদ্দিন, নাদিরা আক্তারকে সিজার অপারেশন করেন। অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন নাদিরা। পরে আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে নাদিরাকে চা, পানি ও রুটি খাওয়ানো হয়। খাওয়ার পরপরই নাদিরার শ্বাসকষ্ট ও  খিঁচুনী উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা এসে রোগীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করেন এবং স্বজনদের তারাতারি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। যাওয়ার পথে রোগীর স্যালাইন বন্ধ হয়ে যাওয়া ও কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় স্বজনরা যাত্রাপথে অপর একটি হাসাপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর তার ইসিজি পরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে রোগীর স্বজন ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালে ভীড় জমায়। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিম মোতায়েন করা হয়।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে রোগীর স্বজনদের সাথে দীর্ঘ সময় আলাপ আলোচনা করে হাসপাতালের মালিক পক্ষ। পরে সাড়ে ৩লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই ঘটনার রফাদফা করা হয়।

নাদিরার ভাসুর আলম বলেন, আজকে সকালে হাসপাতাল থেকে নাদিরাকে চা ও রুটি দেয়ার কথা বলে। পরে খাওয়ার সাথে সাথে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর চিকিৎসক এসে রোগীর বুকে চাপ দিয়ে পালস্ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। পরে কোন কাজ না হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত করে একটি এ্যম্বুলেন্স এনে রোগী ও নবজাতকে গাড়ীতে তুলে স্বজনদের দ্রুত ঢাকা যাওয়ার কথা বলে। ঢাকা যাওয়ার পথে পথিমধ্যে আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে ইসিজি করা হয়। ইসিজি করার পর নাদিরাকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসক।

তিনি আরো জানান, এই হাসপাতালটিতে এর আগে এই গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসার কারণে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই হাসপাতালটিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরদারী প্রয়োজন।

রোগীর মৃত্যু ও রফাদফার বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তি জেনারেল (প্রা:) হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন ভূইয়া কোন কথা বলতে রাজি হননি।
 

এবিএন/সুমন রায়/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ