মুন্সীগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে অগ্রণী ব্যাংকের উদ্যোগে দোয়া মহফিল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:২৬ | আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:৫৮
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪তম শাদাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শনিবার ১২টায় অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতির আঞ্চলিক কমিটি ও অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ সিবিএ আঞ্চলিক কমিটির আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. মহিউদ্দিন।
মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অগ্রণী ব্যাংক লি. এর অঞ্চল প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল খায়ের মো. সফিকুল হক।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংক ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জমির হোসেন গাজী, অগ্রণী ব্যাংক লি. মুন্সীগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মমিন উদ্দিন, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সিবিএ সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সবুজ, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ সভাপতি আবু নাসের, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আ. ম বাবুল প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ মো. মহিউদ্দিন বলেন বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং যে অবদান রেখেছেন তা সবাই জানেন। এতো অবদানের পরেও কেন হত্যার প্রশ্ন আসে? হত্যার প্রশ্ন এ জন্য আসে। যারা এ দেশের উন্নতি চায় নাই, বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াক সেটি তারা চায়নি। বঙ্গবন্ধু জীবনের নিরাপত্তার জন্য উদাসীন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন যে কে তাকে হত্যা করতে পারেন। তাকেও তিনি মন্ত্রীসভায় স্থান দিয়েছিলেন। তার একটি স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে মহিউদ্দিন বলেন একদিন বঙ্গবন্ধু দক্ষিণ দিকের বাগান দিয়ে হাটছিলেন। এমন সময় ৪/৫ জন বঙ্গবন্ধুর সামনে পড়লেন। হাটার সময় বঙ্গবন্ধুর হাতে একটি বেতের লাঠি রাখতেন। সেই লোকদের মধ্যে মাথায় টুপি পড়া মুস্তাক সামনে পড়লো। টুপির ভিতর লাঠি ঢুকে দিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন আরে কুটি মিয়া এই টুপির মধ্যেই তো তোর শয়তানি। বঙ্গবন্ধু সব জানার পরও তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু কত বড় মনের মানুষ ছিলেন তা এতেই বুঝা যায়।
এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ