ইটনায় বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের পরও আতঙ্কে দুটি পরিবার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৪০
ইটনা উপজেলার ধনপুর ঘোষপাড়া গ্রামের দুটি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। হামলার দুই সপ্তাহ পরও পরিবারের লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। পুনরায় হামলার আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে কাটছে তাদের দিন। এ ব্যাপারে থানা-পুলিশের সহায়তা চাইলেও তারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এমন কী মামলা নিতেও ইটনা থানা-কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করেছে।
গত ১২ আগস্ট সকালে উক্ত গ্রামের পরেশ শর্মা ও স্বদেশ শর্মার বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০/৩৫ জনের একদল লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই বাড়িতে হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়িভাবে ঘরের বেড়ার চালে কোপাতে থাকে। ঘরের ভেতর ঢুকে টিভি, আলমারি, আসবাপত্রসহ ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে নগদ সোয়া দুই লক্ষাধিক টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি লুট করে নিয়ে যায়। তারা বাড়ির নারীদেরও লাঞ্ছিত করে। চাপাতি ও লোহার রডের আঘাতে সজল শর্মা ও প্রদীপ শর্মা গুরুতর আহত হয়। যাওয়ার সময় মামলা করলে ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হবে এবং তাদের ভিটাচ্যুত করা হবে বলে হুমকি দিয়ে যায় তারা। স্বদেশ শর্মা ও তার ভাই পরেশ শর্মা অভিযোগ করেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি-জমা ও বাড়ির কিছু অংশ ভোগ-দখল করে রেখেছিল। এবার তাদের নজর পড়েছে বসতভিটার দিকে। তাদেরকে উচ্ছেদের জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা গ্রহণ না করায় গত ২২ আগস্ট স্বদেশ শর্মা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের ৪নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীর বক্তব্য শ্রবণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: শহীদুল ইসলাম চৌধুরী পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মামলার অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে সাক্ষীদের জবানবন্দিসহ একটি প্রতিবেদন আগামী ৭ অক্টোবর দাখিল করার জন্য আদেশ দেন।
এবিএন/শাফায়েতুল ইসলাম/জসিম/তোহা
গত ১২ আগস্ট সকালে উক্ত গ্রামের পরেশ শর্মা ও স্বদেশ শর্মার বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০/৩৫ জনের একদল লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই বাড়িতে হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়িভাবে ঘরের বেড়ার চালে কোপাতে থাকে। ঘরের ভেতর ঢুকে টিভি, আলমারি, আসবাপত্রসহ ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে নগদ সোয়া দুই লক্ষাধিক টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি লুট করে নিয়ে যায়। তারা বাড়ির নারীদেরও লাঞ্ছিত করে। চাপাতি ও লোহার রডের আঘাতে সজল শর্মা ও প্রদীপ শর্মা গুরুতর আহত হয়। যাওয়ার সময় মামলা করলে ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হবে এবং তাদের ভিটাচ্যুত করা হবে বলে হুমকি দিয়ে যায় তারা। স্বদেশ শর্মা ও তার ভাই পরেশ শর্মা অভিযোগ করেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি-জমা ও বাড়ির কিছু অংশ ভোগ-দখল করে রেখেছিল। এবার তাদের নজর পড়েছে বসতভিটার দিকে। তাদেরকে উচ্ছেদের জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা গ্রহণ না করায় গত ২২ আগস্ট স্বদেশ শর্মা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের ৪নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীর বক্তব্য শ্রবণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: শহীদুল ইসলাম চৌধুরী পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মামলার অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে সাক্ষীদের জবানবন্দিসহ একটি প্রতিবেদন আগামী ৭ অক্টোবর দাখিল করার জন্য আদেশ দেন।
এবিএন/শাফায়েতুল ইসলাম/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ