তিতাসে কবিরাজের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা প্রবাসী পরিবার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১২:৫৪ | আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১২:৫৬
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় এক ভন্ড কবিরাজের খপ্পরে পরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এক প্রবাসী পরিবারসহ একাধিক পরিবার এমন অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী মোয়াজ্জল হোসেনের বাড়িতে। পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় ওই গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া জ্বিনের বাদশা দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে জার ফুকের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করে আসছে বলে প্রচার রয়েছে এবং জ্বিন চালান দিয়ে রোগীদের আকৃষ্ট করে হাজার জার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও জানায় গ্রামবাসী।
এ দিকে ভন্ড কবিরাজ দুলাল মিয়ার প্রতারণার স্বীকার বাহরাইন প্রবাসী মোয়াজ্জলের স্ত্রী নিহারা বেগ বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় নিহারার মেয়ে সুরাইয়া আক্তারকে জ্বিনে আজর করেছে। এই জ্বিন সরাতে দুলাল মিয়া নিহারার কাছ থেকে ৭৫০০(সাত হাজার পাচঁ শত টাকা) নিয়েছে একই বাড়ির বজলু মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরার কাছ থেকে ১১০০০ ও শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ২১০০০ টাকা নিয়েছে। এ ছাড়াও আরো অনেকের কাছ থেকে জ্বিনের ভয় দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা নিয়েছে বলে জানা যায়।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে দুলাল মিয়াকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি তবে তার পুত্রবধূ পারুল আক্তার স্বীকার করেছে তার শ্বশুর কবিরাজি করে।
এ সময় গ্রামের শত শত নারী পুরুষ সাংবাদিকদের জানায় দুলাল একজন ভন্ড সে জ্বিনের চালান দিবে বলে ভয় দেখিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে এবং কুফুরি করে মানুষকে তার কাছে আসতে বাধ্য করায়।
এ বিষয়ে নিহারা বলেন আমার মেয়েকে জ্বিনে আছর করেছে বলে ৭৫০০ টাকা নিয়েছে কিন্তু কোন প্রকার উপকার পাইনি বলে জানতে চাইলে দুলাল বলে আরো টাকা লাগবে, টাকা না দিলে তোর মেয়ের আরো ক্ষতি হবে।
হোসনে আরার স্বামী বজলু মিয়া বলেন আমার স্ত্রীর খিচুনী হয়েছে দুলাল বলে তোমার স্ত্রীকে জ্বিনে ধরছে। জি¦ন সরাতে হলে টাকা লাগবে এই কথা বলে ১১ হাজার টাকা নিয়েছে কোন উপকার হয়নি, শফিকুল ইসলাম বলে আমার শরীর ব্যাথা সারাতে ২১ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু কোন উপকার পাইনি।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই ফারুক হোসেন বলেন আমি অভিযোগ প্রাপ্তি হইয়া ঘটনাস্থলে যাই এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ভন্ড কবিরাজ দুলাল মিয়ার প্রতারণার সত্যতা পাই, তবে দুলাল মিয়াকে বাড়িতে পাইনি তার ঘর থেকে ৪টি কিতাব উদ্ধার করে নিয়ে আসি এবং আমরা আরো তদন্ত করছি।
এবিএন/কবির হোসেন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ