আজকের শিরোনাম :

প্রেমেই গেল পঞ্চগড়ের মাদ্রাসাছাত্রী আসমার জীবন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৫৮

ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে একটি পরিত্যক্ত রেলের বগি থেকে আসমা খাতুন (১৭) এর মরদেহ উদ্ধারের খবরে পঞ্চগড়ে তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। গত রবিবার সকালে আসমার মা বাবা কাজের জন্য বাইরে গেলে আসমা তার বাবার ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে নিখোঁজ হয়। একই সময়ে বাঁধনও নিখোঁজ হয় বলে জানিয়েছে বাধনের পরিবার। তারা বিয়ে করার জন্যই পালিয়ে যায় বলে ধারনা স্থানীয়রা।

আসমা পঞ্চগড় জেলা সদরের কনপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় মেয়ে। সে স্থানীয় খানবাহাদুর মখলেছুর রহমান  মাদরাসা থেকে এবার দাখিল পাস করেছে। এরপর পরিবারের আর্থিক অনটনে তাকে আর কলেজে ভর্তি করা হয়নি।

গতকাল সোমবার সকালে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, কমলাপুর রেলস্টেশনের বলাকা কমিউটার ট্রেনের একটি পরিত্যাক্ত বগি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ব্যাগে মোবাইল নম্বর থেকে পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। এসময় পরিবার ও এলাকা বাসী জানায় পাশের গ্রামের ভূট্টোর ছেলে বাধনের সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রোববার সকাল থেকে বাধনও নিখোঁজ ।

স্থানীয়দের সন্দেহ  বাধনই আসমাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তারা আরও জানায় অষ্টম শ্রেণী থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দুজনই একই মাদ্রাসায় একই ক্লাসে পড়াশোনা করতো। একই কথা জানিয়েছে আসমার বান্ধবীরাও।

 কমলাপুরে দুজনই কোন চক্রের হাতে পড়ে আসমা খুন হতে পারে অথবা বাধনের সঙ্গীরা খুন করতে পারে বলে সন্দেহ করছে এলাকাবাসী। বাধন কে আটক করলেই এসব বিষয় পরিস্কার হতে পারে বলে দাবী তাদের । তবে বাধনের পরিবার আসমাকে নিয়ে যাবার ঘটনাটি সম্পুর্ণ অস্বীকার করেছেন। বাধনের মা বিলকিস খাতুন জানান আসমার সাথে আমার ছেলের কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিলনা। রবিবার সকালে সে বাবা মার সাথে ঝগড়া করে মাদ্রাসায় যাবার কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে আর আসেনি । বর্তমানে সে কোথায় আছে তা তারা জানেন না।

 বুধবার সকালে, পঞ্চগড় ১ আসনের সংসদ সদস্য মজারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী আসমার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন। পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান  নিয়ম অনুযায়ী জিআরপি থানায় মামলা হয়েছে। তারাই তদন্ত করবেন। যেহেতু নিহতের বাড়ি পঞ্চগড়ে, এজন্য তদন্তের সময় আমাদের সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে। আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করেছি। কিছু আলামতও পাওয়া গেছে। তদেন্তের স¦ার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছেনা।   


এবিএন/ডিজার হোসেন বাদশা/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ