আজকের শিরোনাম :

পটিয়ায় ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১০:৩১

রোহিঙ্গা নাগরিককে ১৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেন দিনভর লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে। 

আটককৃত রোহিঙ্গা নাগরিক হলেন মমতাজ হোসেন। তার পিতার নাম আবদুল হাকিম। সে কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি-২ তে তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। 

জানা যায় গত ১৭ আগষ্ট শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার শান্তিরহাট মোড়ের ইউনিয়ন ব্যাংকের নীচে রোহিঙ্গা নাগরিক কাধে একটি ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। পটিয়া থানার এসআই মোবারক হোসেন তাকে তল্লাশি চালিয়ে কাধে থাকা ব্যাগ থেকে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে ইয়াবাসহ থানায় নিয়ে আসা হয়। 

এ খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা এসআই মোবারকের নিকট জানতে চাইলে সে জানান ২৩শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদকর্মীরা তথ্য নিশ্চিত করে এসআই মোবারককে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানালেও উক্ত এসআই সংবাদকর্মীদের পাল্টা জানান ১৫ হাজার পিস ইয়াবার কথা যে বলেছে তাকে তার নিকট ধরে নিয়ে আসতে। 

এ বিষয়ে সংবাদকর্মীরা থানার ওসি বোরহান উদ্দিনকে জানালে ওসি সংবাদকর্মীদের কিছুক্ষণের মধ্যে জানানো হবে বলে জানান। পরে তিনি রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদকর্মীদের ‘১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং রোহিঙ্গা নাগরিক আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন। আনুমানিক মূল্য ৪৫ লক্ষ টাকা। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

পরে উক্ত এসআই মোবারকের নিকট ইয়াবা নিয়ে লুকোচুরির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান ‘আসলে ওই সময়ে উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো গণনা করা হয়নি। তাছাড়া মূল হোতাকে ধরার জন্য এ কৌশল নেয়া হয়েছে।’ পরে গণনা না করে সুনির্দিষ্ঠভাবে ২৩শত পিস ইয়াবার সংখ্যা কেন বলা হল এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি হেসেন উক্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যান।   

ইয়াবা নিয়ে পুলিশের এ ধরনের লুকোচুরি এবং সময়ক্ষেপণ প্রসঙ্গে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন খাঁন বলেন ‘আমাকে জানানো হয়েছে সন্ধ্যা ৬টায়। তবে কত পিস ইয়াবা পেয়েছে তা ঐ সময়ে আমাকে জানানো হয় নি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এবিএন/সেলিম চৌধুরী/গালিব/জসিম 

 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ