আজকের শিরোনাম :

যমুনা নদী থেকে

কালিহাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৫৪

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যমুনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন সাত গ্রামের তিন সহস্রাধিক মানুষ। আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতুর দক্ষিণ-পূর্ব পাশ্র্বে কালিহাতী উপজেলার আলীপুরে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসন ও বিবিএ’র কিছু অসাধু কর্র্মকর্তাদের ম্যানেজ করে উপজেলা গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার বালু উত্তোলন করে আসছিল। বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবিতে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে বলে স্থানীয়রা জানান। তারা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

মানববন্ধনে গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, রফিকুল ইসলাম মাষ্টার, শামসুল আলম প্রমুখ।

বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসায় স্থানীয় এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর কোল ঘেঁষে যমুনা নদী থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করে আসছে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার, গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মেম্বারসহ একটি প্রভাবশালী মহল। বালু উত্তোলনের ফলে উপজেলার চর সিংগুলি, বন সিংগুলি, কায়েম সিংগুলি, জিদহ, ভৈরববাড়ী, আলীপুর, বেলটিয়া, খাগচড়া গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়ী ঘর হারিয়ে নি:স্ব হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ।
 
মানবন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় তাদের চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শণ করে বালু উত্তোলনকারী। এর আগে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সাথে বালু উত্তোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

শামসুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৬ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও তোয়াক্কা করছেন না প্রভাবশালীরা। দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সেতু। এছাড়া উত্তরবঙ্গে গ্যাস সংযোগের লাইনও রয়েছে হুমকিতে। যে কোন সময় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ হয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।  

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সেতু এলাকায় ৬ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরেও একটি প্রভাবশালী মহল বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করে। বালু উত্তোলনের প্রভাব পরোক্ষভাবে সেতুর উপর গিয়ে পড়ে। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক আছি।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। বর্তমানে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।

এবিষয়ে গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার বলেন, প্রতিবছর বালু উত্তোলনে ওই এলাকার লোকজনকে টাকা দেয়া হয়। এবার টাকা নিয়ে কিছু লোক পেয়েছে বাকিরা না পাওয়ায় তারা বালু উত্তোলনে বাধা দেয়। এসময় সংঘর্ষ হয়। পরে কেবা কাহারা মামলা দিয়েছে তবে আমার মামলা বিষয়ে জানা নেই।

 

এবিএন/তারেক আহমেদ/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ