আজকের শিরোনাম :

লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে গরুর বাজার দেশী গরুর চাহিদা বেশি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০১৯, ১০:৫৫

লক্ষ্মীপুরে পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন পশুর হাট শেষ মুহূর্তে দারুণ জমে উঠেছে। গতবারের তুলনায় এবার দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি। পছন্দের কোরবানীর পশু কিনতে বিভিন্ন হাটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

জানা গেছে, এবার জেলায় প্রায় শতাধিক স্থানে কোরবানী পশুর হাট বসেছে জেলা শহরের গরুর হাট ছাড়াও সদর উপজেলার মান্দারী, জকসিন, চন্দ্রগঞ্জ, দত্তপাড়া, ভবানীগঞ্জ, হাজিরপাড়া,মীরগঞ্জ,রসুলগঞ্জ, কালুবেপারীহাট, রায়পুরের রাখালিয়া বাজার, মোল্লারহাট, খাসেরহাট,হায়দারগঞ্জ বাজার,মিতালি বাজার,ক্যাম্পেরহাট ও বাসাবাড়ি বাজারসহ জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন হাটে প্রচুর সংখ্যক গরু-ছাগল উঠেছে। কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিদেশী গরু-ছাগলে বাজার সয়লাব হলেও কমতি নেই দেশীয় গরু-ছাগলে।

গতবছরের তুলনায় এবার গরু-ছাগলের মূল্য কিছু বেশী। এখানকার হাট-বাজারগুলোতে বিদেশী গরুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে দেশী গরু। এসব বাজারে ৩০ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত গরু ও ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাগল রয়েছে। এদিকে পশুর হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

অপরদিকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুর হাটগুলো জমে উঠলেও বিভিন্ন বিপণী বিতান ও মার্কেটগুলো ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। বিপণী বিতান ও মার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা বেচা-বিক্রি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। দালাল বাজারে দেশী গরু বিক্রেতা আবুল কাশেম জানান, তিনি তার পালিত ৫টি গরু বাজারে বিক্রির জন্য এনেছেন। সবগুলো তিনি বিক্রি করেছেন। ভাল দাম পেয়ে তিনি খুশি ।

অপর মৌসুমী গরু ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন জানান, কোরবান উপলক্ষে তিনিসহ কয়েকজন মিলে কুষ্টিয়া থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকার গরু এনেছেন। তার একটি বিদেশী গরু ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। দালাল বাজারে ইমতিয়াজ নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বিদেশী গরু কিনেছেন। গতবারের চেয়ে দাম কিছুটা বেশী। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় মানুষ নির্বিঘ্নে পছন্দের পশু কিনতে পারছেন।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) ড.এইচএম কামরুজ্জামান জানান, কোরবানীর পশুর হাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানুষ যেন নির্বিঘ্নে পশু কিনে বাড়ী ফিরতে পারে, সে জন্য র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জেলার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, হাট বাজার ও তার আশপাশ এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/আ আবীর আকাশ/জসিম/বিদ্যুৎ

এই বিভাগের আরো সংবাদ