আজকের শিরোনাম :

বদলগাছীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০১৯, ১২:২৪

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নওগাঁর বদলগাছীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার কোলাহাট, ভান্ডারপুর, গোবরচাঁপা, মাতাজিহাট ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে গরু না আসায় এবার দেশী গরু দিয়ে চাহিদা মিটাতে হচ্ছে। যার কারণে কোরবানি পশুর দাম অনেক টায় বেশি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মোটাতাজা গরু, ছাগল হাটে তুলেছে। 

আর ক্রেতাদের ঐ সব দেশী মোটাতাজা কোরবানির গরু-ছাগলের উপর নজর বেশি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভাষ্যে জানা যায় এবার আমাদের এলাকায় ভারতের গরু না আসলেও দেশী গরু দিয়েই চাহিদা মিটিয়ে যাবে। স্থানীয়ভাবে দেশী খাবার দিয়ে মোটাতাজা করা পশুই বিক্রি হচ্ছে বেশি। সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা কোরবানি কেনার জন্য বিভিন্ন হাটে ছুটা-ছুটি করছে। তুলনামূলক এবার বাজারে গত বছরের থেকে এবছর কোরবানির পশুর দাম কিছুটা হলেও কম। বর্তমান একটু নজরে লাগার মত কোরবানির ৩-সাড়ে ৩ মণ ওজনের পশু হলেই ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা চাহিদা করছে খামারিরা। 

অপরদিকে স্থানীয় কিছু গরু খামারীরা জানায় বাজারে গো-খাদ্য ভুষি, খড়, আটা, খুদির দাম বাজারে অনেক বেশি সে তুলনায় গরুর দাম কম হওয়ায় আমাদের মত খামারীদের অনেক লোকসান গুনতে হচ্ছে। কারণ একটা কোরবানির গরুর পিছনে সারা বছরে অনেক খরচ হয় সেই হিসাবে বাজারে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। কোলার হাট, মাতাজি হাট, গোবরচাপা হাটে গিয়ে ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গরু প্রতি ১৬০ টাকা খাজনার তালিকা আছে সেইখানে দাপট খাটিয়ে গরু প্রতি ৩৮০ থেকে ৪শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু রশিদে টাকার পরিমাণ না লিখে কৌশলে পরিশোধ লিখা হচ্ছে। হাট ইজারাদার রফিকুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন সরকারি রেট বলা যাবে না তবে কোলাহাটটি স্কুল মাঠে বসানো হয়। এখানকার স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসায় কিছু চাঁদা দিতে হয় জন্য পরিমাণে একটু বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে। 

চকগোপিনাথ গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মো. আবুল হোসেন, ওমর আলী জামাল উদ্দীনসহ অনেকে জানায়, এবছর কোরবানির বড় গরু থেকে ছোট ও মাঝারী গরুর চাহিদা বেশি। এছাড়া ছাগল ব্যবসায়ী কাজল, সালাম হোসেন, তজিবর রহমানসহ অনেকে বলেন কোরবানি গরুর পাশাপাশি ছাগলের দামও নাগালেই রয়েছে। কিছুদিন আগেই ২০- ২২ কেজি ওজন ছাগলের দাম ছিল ১৪-১৬ হাজার টাকা। বর্তমানে ঐ ছাগল ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।  

উপজেলার হাটগুলোতে সরকারিভাবে পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য চিকিৎসক থাকা প্রয়োজন। কারণ পশুটা কোরবানির উপযোগী কিনা তা দেখার দরকার। তবে হাটগুলোতে পশু চিকিৎসক আছে কিন্তু তারাও পরিক্ষার জন্য গরু প্রতি ১শ টাকা আদায় করছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জিয়াউর রহমান বলেন পরিক্ষা বাবদ গরু প্রতি ১শ টাকা নেয়ার অফিসিয়াল ভাবে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকেন প্রমাণ সাপেক্ষে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম আলী বেগ বলেন যদি টোল আদায় বেশি নেয় সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়াহবে। উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল আলম খান বলেন শুধু গরু ছাগল নয় যে কোন পশুর অতিরোক্ত টোল আদায় না জন্য আমি কয়েকটি হাটে গিয়ে হাট ইজারাদারদের নিষেধ করেছি। 

এবিএন/হাফিজার রহমান/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ