আজকের শিরোনাম :

লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও ‌‘পল্লী উন্নয়ন এন্টারপ্রাইজ’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০১৯, ২২:৪২

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরে সাইনবোর্ড সর্বস্ব এনজিও (সংস্থা) পল্লী উন্নয়ন এন্টারপ্রাইজ (ট্রেড লাইঃ নং-৭০) নামীয় একটি হায় হায় কোম্পানি স্থানীয় সদস্য গ্রাহকদের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ ঋণ প্রদানের বিপরীতে জামানতের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এনজিও (সংস্থাটির) স্বঘোষিত প্রতারক ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে নিয়োগ দেয়া কতিপয় মাঠকর্মিদের চাতুরতায় আগে আসলে আগে সদস্য অন্তর্ভূক্তির ধোঁয়া তুলে ফরম পূরণের মধ্যদিয়ে অসংখ্য নারী-পুরুষকে সদস্য করে নেন।

ওইসব সদস্য গ্রাহকদের নিকট থেকে ডাউন পেমেন্ট জমাদানের শর্তসাপেক্ষ ঢেউটিন, টিউবওয়েল, পাকা ল্যাট্রিন, ভ্যান, বাইসাইকেল, অটোভঅটোভ্যান, অটোরিকশা, সেলাই মেশিন, ফ্রিজ, টেলিভিশন, সোলার, বঙ্খাট, আলমিরা ও সোকেসসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী সরবরাহ এবং নগদ অর্থ ঋণ প্রদান সাপেক্ষ আশরাফুল লাখ-লাখ টাকা জামানত গ্রহণ করে।

মাত্র মাসাধিক সময় আগে সংস্থাটির পক্ষে কথিত ম্যানেজার আশরাফুল তার অফিস হিসেবে স্থানীয় মৃত আব্দুল হামিদ মাস্টারের ছেলে সোফেল মন্ডলের মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতল স্পেস ভাড়ায় নেন।

ভবন মালিক পক্ষের সাথে যাবতীয় চুক্তি সম্পন্ন শেষে চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য অফিসিয়াল সরঞ্জাম দিয়ে কার্যালয়টি কোঁখ ধাধানো আঙ্গিকে বেশ সাজিয়ে তোলেন। রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক ঘেঁষে পৌর শহরের শিল্পী ভোজনালয় সম্মুখে ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাগোয়া মোটা অংকে ভাড়ায় নেয়া ওই অফিস থেকেই এসব হায় হায় কোম্পানীর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন ম্যানেজার আশরাফুল।

ধুরন্ধর ম্যানেজার আশরাফুল এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাঠকর্মিসহ অফিস স্টাফের নিয়োগ দেন। অতি উৎসূক স্থানীয় আগ্রহী অনেক নারী-পুরুষই সংস্থার নামে হায় হায় কোম্পানির নিয়োগ নেন। ম্যানেজারের অফিসিয়াল নির্দেশনা মতে তারা মাঠপর্যায়ে কাজও শুরু করেন।

চোঁখে কালো গগজ, মাথায় ক্যাপ, মার্জিত, সুদর্শন, নম্র-ভদ্র, ছিমছাম-ফিটফাট স্বভাবের ধুরন্ধর ম্যানেজার আশরাফুল সোমবার ৫ আগস্ট বিকেলে গ্রাহকদের অফিসে আসতে বলে যাবতীয় ফার্ণিচারসহ অন্যান্য সামগ্রী রেখেই উধাও হন।

আশরাফুল ইসলামের ফোনে (০১৭৪৬- ৫১০৩১৯) একাধিকবার চেষ্টা করেও নম্বরটি বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি। অফিস বিল্ডিং মালিকের নিকট আশরাফুলের নাম-ঠিকানাসহ প্রকৃত পরিচয় জানার চেষ্টা করেও মালিকপক্ষকে না পাওয়ায় এ ব্যাপারে তেমন কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

তবে কি পরিমাণ অর্থ নিয়ে ম্যানেজার উধাও হয়েছেন সে ব্যাপারেও সঠিক কোন তথ্য মেলেনি। অপরদিকে ম্যানেজার উধাও হয়েছে জেনে ভূক্তভোগি নারী-পুরুষ অনেক সদস্যকেই ওই কার্যালয় চত্বরে ভিঁড় করতে দেখা গেছে।

মাঠকর্মি হিসেবে যারা ওই এনজিওতে চাকুরি করে আসছিলেন সঞ্চয় জামানত হারানো গ্রাহকদের আর্তনাদের সময় চিহ্নিত ওইসব কর্মিদেরও কারো চোখে পড়েনি বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান।

সঞ্চয় জামানত হারিয়ে হতাশাগ্রস্ত ভূক্তভোগি মহল এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ছাড়াও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


এবিএন/আরিফ উদ্দিন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ