আজকের শিরোনাম :

স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি চান বাউফলের নাজমিন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৩৮

পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীর সম্মান ও নবজাতকের পিতৃ পরিচয় পেতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে নাজমিন আক্তার নামের এক কুমারী মা (১৭)। আজ রবিবার এমন অভিযোগ এনে উপজেলার কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং বাউফল থানা পুলিশের কাছে বিচার চেয়েছে নাজমিন আক্তার।

বাউফলের পাশ্ববর্তী এলাকা দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আবুল কালামের মেয়ে নাজমিন আক্তার জানান, সে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর সংসারের হাল ধরতে এলাকা ছেড়ে নারায়নগঞ্জের জননী গার্মেন্সে কাজ করতো। তার আপন খালাতো ভাই বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার কালাম মৃধার ছেলে মনির মৃধা তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে তার বাড়ি নিয়ে আসে এবং প্রতিনিয়ত দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

 এরফলে নাজমিন অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে নাজমিন মনিরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু এতে মনির কর্ণপাত করেনি। বরং অন্তঃস্বত্তা অবস্থায়ও মনির নাজমিনের সাথে দৈহিক সম্পর্ক বজায় রাখে বলে নাজমিন অভিযোগ করেন।

 এক পর্যায়ে গত ৩০ জুলাই নাজমিনের একটি কণ্যা সন্তান জন্ম নেয়। নাজমিন বিয়ে করে তাকে স্ত্রীর সম্মান এবং নবজাতকের পিতৃ পরিচয় দেয়ার জন্য মনিরকে আবারো চাপ দিতে থাকলে মনির তাকে বিয়ে করবে না এবং সন্তানেরও পরিচয় দেবে না বলে জানিয়ে দেয়।

 এমতাবস্থায় নাজমিন স্ত্রীর সম্মান এবং সন্তানের পিতৃ পরিচয় পেতে কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম.ফয়সাল আহমেদসহ বাউফল থানা পুলিশের দারস্থ হয়। এব্যপারে জানতে মনিরের ০১৭৪১১৮৮১৩৮ নম্বরে বারবার ফোন দেয়া হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।

এবিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি জেলা সদরে আছি। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। নাজমিনকে থানায় এসে অভিযোগ দেয়ার কথা বলেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ