আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৭ | আপডেট : ৩১ জুলাই ২০১৯, ১১:৫২

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধাহাট-বড়খাতা বিডিআর গেট বাইপাস সড়কটির একটি অংশ সম্প্রতি বন্যায় পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।  ২ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ওই উপজেলার গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় ভাঙ্গা সড়কের অংশ দিয়ে মানুষজনকে কখনো হাটু পানি, কখনো কোমর পানি পাড়ি দিয়ে কাপড় ভিজে পারাপার হতে হয়। এ ভাঙ্গা সড়কে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরীর জন্য জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে এলাকাবাসী। জেলা প্রশাসক আবু জাফরসহ অনেক জনপ্রতিনিধিও সরেজমিন পরিদর্শন করলেও গত ১৫ দিনেও বাঁশের সাঁকোটি তৈরি হয়নি। এলাকাবাসী ওই সাঁকো তৈরির জন্য কারো অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজ উদ্যোগে সাঁকো তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়। 

সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকো তৈরি করেন এলাকার লোকজন। এদিকে ওই উপজেলার দক্ষিণ ধুবনী গ্রামের লোকজনও নিজ উদ্যোগে ১ শত ৬২ হাত একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন বলেন গত ১৩ জুলাই বাইপাস সড়কটি বন্যায় তিস্তা নদীর পানির চাপে ভেঙ্গে যায়। ফলে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। এতে ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় যেতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতও কমে যায়। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে সমস্যায় পড়তে হয় এলাকাবাসী। একটি বাঁশের সাঁকো তৈরীর জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে এলাকার লোকজন গত সোমবার সকালে নিজ উদ্যোগে বাড়ি ঘুরে ঘুরে প্রায় ৪০টি বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকোটি তৈরী করেন। এখন একটু দুর্ভোগ কমলেও ওই সড়কের ভাঙ্গা অংশটি মেরামত করা জরুরী হয়ে পড়েছে। 

ওই এলাকার কলেজ ছাত্র সাদেকুল ইসলাম বলেন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টায় প্রাইভেট পড়তে আমাকে বাইসাইকেলে হাতীবান্ধা শহরে যেতে হয়। কিন্তু বন্যায় সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে আমার সকালে প্রাইভেট পড়া সম্ভব হয়নি। বাঁশের সাঁকো তৈরী করে সাময়িক সমস্যার সমাধান হলেও জরুরী ভিত্তিতে সড়কের ভাঙ্গা অংশ মেরামত প্রয়োজন। কারণ ওই সড়ক দিয়ে আমরা দুই শতাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সকল সড়ক মেরামতের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই সড়কগুলো মেরামতের কাজ শুরু হবে। 

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম

  
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ