সোনাগাজীতে পিবিআই’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০১৯, ১৯:৫২
সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেছেন আসামী মকছুদুর রহমানের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে মন্তব্য করেছেন, নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
তার এমন মন্তব্যে আদালত অবমামনা হয়েছে দাবী করে তিনি আদালতের কাছে এর প্রতিকার চান। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ আইনজীবীর বক্তব্য শুনে সোমবার পুর্নাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় হাজিরার জন্য আজ রবিবার সকালে নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে তাদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আনা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হাফিজ আহাম্মদ এদিন পর্যায়ক্রমে সাতজন সাক্ষী আদালতে হাজির করেন। সাক্ষী মোশারফ হোসেন, গোলাম মাওলা, ফেনী জেলা কারাগারের জেলসুপার রফিকুল কাদের,ডেপুটি জেলার মনির হোসেন,কারারক্ষী ছবি রঞ্জন ত্রিপুরা,কারারক্ষী শাহনেওয়াজ,কারারক্ষী রিপনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। আদালতের বিচারক সাক্ষ্য ও জেরা শেষে সোমবার নুসরাতের পিতা মাওলানা একেএম মুছা মানিক সহ তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
সাক্ষী মোশারফ হোসেন আদালতকে বলেন, গত ৮ মে নুসরাত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গ্লাস উদ্ধারের সময় তিনি মাদ্রসায় ছিলেন এবং জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন।
সাক্ষী মনির হোসেন আদালতকে বলেন, কারাগারে দর্শনার্থী রেজিষ্টার অনুযায়ী গত ১ এপ্রিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার সাথে কারাগারে সাক্ষাত করেন তার স্ত্রী বিবি জহুরা,মাদ্রাসা ছাত্র নুর উদ্দিন,শাহাদাত হোসেন শামিম, ইমরান,কাদের। ৩ এপ্রিল দেখা করেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন,জাবেদ,রানা,শামিম। তিন কারারক্ষী একই তথ্য আ্দালতকে জানান। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের জেরায় ডেপুটি জেলার মনির হোসেন আদালতকে বলেন, কারাবন্দি আসামীর সাথে সাক্ষত করতে আসা দর্শণার্থীর কাছ থেকে সাক্ষাত করার স্লিপে কোন সাক্ষর নেওয়া হয়না এবং তাদের কাছে ন্যাশনাল আইডি কার্ড চাওয়া হয়না। একজন দর্শনার্থীর নাম বলে তার পরিবর্তে অন্য যে কেউ দেখা করতেন পারে। বন্দি ও দর্শনার্থী সাক্ষাতকার কক্ষে ষড়যন্ত্র করার কোন সুযোগ নেই। বন্দি সিরাজ উদদৌলার সাথে সাক্ষাত করতে আসা দর্শনার্থীরা কোন ষড়যন্ত্র করেছে এমন কোন তথ্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে রেকর্ড নেই। কারারক্ষী ছবি রঞ্জন ত্রিপুরা জেরায় আদালতকে বলেন, তিনি কারাগারের অভ্যান্তরে বন্দিদের সাক্ষাতকার কক্ষে ছিলেন। আসামী সিরাজ উদদৌলার সাথে সাক্ষাত করতে আসা দর্শনার্থীদের তিনি দেখতে পাননি।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন গিয়াস উদ্দিন নান্নু, ফরিদ উদ্দিন নয়ন, মাহফুজুল হক, আবুল বশর, নুর ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম মিন্টু, কামরুল হাসান,আহসান কবির বেঙ্গল।
আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, আলোচিত মামলায় এ পর্যন্ত যে ৫৮ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা
তার এমন মন্তব্যে আদালত অবমামনা হয়েছে দাবী করে তিনি আদালতের কাছে এর প্রতিকার চান। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ আইনজীবীর বক্তব্য শুনে সোমবার পুর্নাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় হাজিরার জন্য আজ রবিবার সকালে নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে তাদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আনা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হাফিজ আহাম্মদ এদিন পর্যায়ক্রমে সাতজন সাক্ষী আদালতে হাজির করেন। সাক্ষী মোশারফ হোসেন, গোলাম মাওলা, ফেনী জেলা কারাগারের জেলসুপার রফিকুল কাদের,ডেপুটি জেলার মনির হোসেন,কারারক্ষী ছবি রঞ্জন ত্রিপুরা,কারারক্ষী শাহনেওয়াজ,কারারক্ষী রিপনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। আদালতের বিচারক সাক্ষ্য ও জেরা শেষে সোমবার নুসরাতের পিতা মাওলানা একেএম মুছা মানিক সহ তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
সাক্ষী মোশারফ হোসেন আদালতকে বলেন, গত ৮ মে নুসরাত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গ্লাস উদ্ধারের সময় তিনি মাদ্রসায় ছিলেন এবং জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন।
সাক্ষী মনির হোসেন আদালতকে বলেন, কারাগারে দর্শনার্থী রেজিষ্টার অনুযায়ী গত ১ এপ্রিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার সাথে কারাগারে সাক্ষাত করেন তার স্ত্রী বিবি জহুরা,মাদ্রাসা ছাত্র নুর উদ্দিন,শাহাদাত হোসেন শামিম, ইমরান,কাদের। ৩ এপ্রিল দেখা করেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন,জাবেদ,রানা,শামিম। তিন কারারক্ষী একই তথ্য আ্দালতকে জানান। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের জেরায় ডেপুটি জেলার মনির হোসেন আদালতকে বলেন, কারাবন্দি আসামীর সাথে সাক্ষত করতে আসা দর্শণার্থীর কাছ থেকে সাক্ষাত করার স্লিপে কোন সাক্ষর নেওয়া হয়না এবং তাদের কাছে ন্যাশনাল আইডি কার্ড চাওয়া হয়না। একজন দর্শনার্থীর নাম বলে তার পরিবর্তে অন্য যে কেউ দেখা করতেন পারে। বন্দি ও দর্শনার্থী সাক্ষাতকার কক্ষে ষড়যন্ত্র করার কোন সুযোগ নেই। বন্দি সিরাজ উদদৌলার সাথে সাক্ষাত করতে আসা দর্শনার্থীরা কোন ষড়যন্ত্র করেছে এমন কোন তথ্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে রেকর্ড নেই। কারারক্ষী ছবি রঞ্জন ত্রিপুরা জেরায় আদালতকে বলেন, তিনি কারাগারের অভ্যান্তরে বন্দিদের সাক্ষাতকার কক্ষে ছিলেন। আসামী সিরাজ উদদৌলার সাথে সাক্ষাত করতে আসা দর্শনার্থীদের তিনি দেখতে পাননি।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন গিয়াস উদ্দিন নান্নু, ফরিদ উদ্দিন নয়ন, মাহফুজুল হক, আবুল বশর, নুর ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম মিন্টু, কামরুল হাসান,আহসান কবির বেঙ্গল।
আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, আলোচিত মামলায় এ পর্যন্ত যে ৫৮ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
এই বিভাগের আরো সংবাদ