আজকের শিরোনাম :

চকরিয়ায় ছেলেধরা গুজব ঠেকাতে পুলিশের প্রচারণা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০১৯, ১৫:২৪

গৃহবধূ পারভিন আক্তার (৩০)। ম্বামী মোহাম্মদ আলমগীর দুবাই প্রবাসী। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। প্রথম ছেলে ও মেঝ মেয়ে দুইজনই পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। তাদের জন্য খাতা কলম কিনতে কনিষ্ট তিন বছরের শিশু মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে আসেন। সওদার পর গাড়িভাড়া ছাড়া কোন টাকা ছিলনা।

এ অবস্থায় শিশু মেয়ে বায়না ধরে দাকানে টাঙানো পুতুল কিনে দিতে হবে। টাকা সংকটে আবদার মেটাতে না পারায় অঝোরে কান্না শুরু করে শিশু মেয়েটি। এতে আতংক ভর করে মায়ের। তড়িগড়ি মেয়েকে নিয়ে ইজিবাইকে উঠে ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে। এরকম অনেক ঘটনার সামনে পড়তে হচ্ছে মা-বাবাদের। এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে চকরিয়ার পৌরশহরে।

জানতে চাইলে পারভিন আক্তার বলেন, সংবাদপত্রের মাধ্যমে জেনেছি চিপস কিনে না দেয়ায় সন্তানের কান্না দেখে ছেলে ধরা অজুহাতে পিটুনির শিকার হয়েছেন মা। এতেই আমার মেয়ে কান্না শুরু করলে ভয় ও আতংক ভর করে আমার। এভাবেই ঘরের বাইরে আপন শিশু সন্তানদের নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ নানা কাজে বের হলেই ভয় ভর করছে মা-বাবার।

এদিকে, শিশু ধরা গুজব ঠেকাতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চকরিয়া পুলিশ প্রশাসন গত তিনদিন ধরে হাটে-ঘাটে, সড়কে, শিক্ষা প্রতিষ্টানে সভা-সমাবেশ ছাড়াও উপজেলার একটি পৌরসভাও ১৮টি ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ করেছে।

এসব পথসভায় চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো.মতিউল ইসলাম বলেন, “চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে মাথার দু’পাশে কান আছে কিনা না দেখে চিলের পেছনে দৌড়াবেন না”। কোথাও শিশু নিখোঁজ, অপহরণ বা ধরার খবর পাওয়া মাত্র গুজব না ছড়িয়ে থানা পুলিশকে খবর দিন। অপরিচিত কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলেও পুলিশকে খবর দিন।

তিনি আরো বলেন, সন্দেহের উপর ভর করে আইন হাতে তুলে না নিয়ে সন্দেহজনক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার পরামর্শ দেন তিনি।

এসময় চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান, কাউন্সিলর মুজিবুল হকসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ