আজকের শিরোনাম :

‘ছেলেধরা’ গুজব, আটক যুবলীগ কর্মী রিয়াজ জেলহাজতে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০১৯, ১৯:২১

ঝালকাঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়ানোর অভিযোগে যুবলীগের সক্রীয় কর্মী রিয়াজ তালুকদার (৪০)কে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আজ বৃহস্পতিবার বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। বুধবার বিকেলে পুলিশ রাজপুর উপজেলা সদর থেকে আটক করে তাকে ঝালকাঠি থানায় আনার পর রাতভর পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা রুজু করে।
    
অন্যদিকে ঝালকাঠি শহরের ধোপারচক এলাকার বাসিন্ধা মরহুম এড. হাবিবুর রহমানের ছেলে যুবলীগের সক্রিয় কর্মী রিয়াজ তালুকদারকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শহর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে রিয়াজের ঘনিষ্টদের দাবী, স্থানীয় মিডিয়াকর্মী নামধারী একটি গ্রুপং নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়ে ও তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর মিথ্যা কাহিনী রটিয়ে পুলিশ কে গ্রেপ্তারের জন্য উস্কানী দিয়েছে।
    
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৭জুলাই রিয়াজ তালুকদার নিজের ফেসবুকে ‘ছেলেধরা’ লাগার গুজব ছড়িয়ে দেয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। এই বিষয়টি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নজরে আসলে বুধবার তাকে রাজাপুর থেকে আটক করে আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, যুবলীগ কর্মী রিয়াজ তালুকদার দলের একজন সক্রিয়কর্মী হিসাবে বর্তমান সকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ঝালকাঠি সদর আসনের এমপি দেশবরেন্য রাজনীতিবীদ আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপির পক্ষে ফেসবুকে প্রচার প্রচারনায় ব্যাপক সক্রিয় ছিলো। তার দেয়া ফেসবুক পোষ্টটি সরকার বা প্রশাসনের বিরুদ্ধে উস্কানী বা গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্যে না হলে পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় তার এধনের পোষ্টদেয়া ঠিক হয়নি।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানায়, রাজাপুর থেকে তাকে আটক করে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাতে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে এহেন মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজবের ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরীহ ও সাধারন মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এঅবস্থায় সরকার ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহল এহেন মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করে।  এমন কি কাউকে ছেলেধরা বা এরকম কোন তৎপরতায় জড়িত বলে সন্দেহ হলে আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেয়া ও কাউকে সন্দেহ হলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে জানানোর জন্য সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গণবিজ্ঞপ্তি জারী করেন।

এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ