আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে ২ সপ্তাহেও মেরামত হয়নি সড়ক : ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০১৯, ১৩:২৬

সম্প্রতি বন্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধাহাট-বড়খাতা বিডিআর গেট বাইপাস সড়কের গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় এলাকায় সড়কসহ ধুবনী ও সির্ন্দুনা গ্রামের ৩টি সড়ক ভেঙে গেছে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। অথচ সড়কগুলো আজো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে প্রতিদিন বাধ্য হয়ে পানিতে ভিজে আবার কখনো কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে ওই এলাকার শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের।

জানা গেছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত ১৩ জুলাই সকালে হাতীবান্ধাহাট থেকে বড়খাতার বিডিআর গেট বাইপাস সড়কের গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় এলাকার পাকা সড়কটির বড় একটি অংশ ভেঙে যায়। এতে হাতীবান্ধা-বড়খাতা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী ধুবনী ও সিন্দুর্না গ্রামের ৩টি সড়ক ভেঙ্গে যায়। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ওই এলাকাগুলোর লোকজনের স্বাভাবিক কার্যক্রম।

সরে জমিনে দেখা যায় হাতীবান্ধা-বাড়খাতা শহরের সঙ্গে বাইপাস পাকা সড়কটির ৭০ ফিট ভেঙে গেছে। সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এলাকার ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হাঁটু পানিতে ভিজে চলাচল করছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এ পথেই যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। নৌকা বা ভেলায় চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।

গড্ডিমারী তালেব মোড় এলাকার শিক্ষার্থী আইরিন, তাপস রায়, অনামিকা মীম, মিথিলা সরকার বলেন, আমাদেরকে হাঁটু পানিতে যেতে হলেও অনেককে কোমর পানিতে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় বই-খাতা ভিজে যায়। আমরা দ্রুত এই পাকা সড়কটি সংস্কারে দাবি জানাই।

গড্ডিমারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যাালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন বাইপাস পাকা সড়কসহ ছোট ছোট মাটির রাস্তা গুলো বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। 

লালমনিরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান শিক্ষার্থীদের চলাচলের সড়কগুলো মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কগুলো মেরামত করা হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও বাঁধগুলো মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ