আজকের শিরোনাম :

তিতাসে মাদ্রাসার জায়গা থেকে স্থানীয় বাজার স্থানান্তরীত হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বস্তি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৯, ১৬:৩৮

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দুধঘাটা নুরে মুহাম্মদী (সা.) দাখিল মাদ্রাসার যায়গা থেকে স্থানীয় দুধঘাটা বাজারটি  স্থানান্তরীত হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উৎফুল্ল। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় দুধঘাটা গ্রামের সমাজসেবক মো. জাহাঙ্গীর ২০০২ সালে ৪০ শতক ভূমি মাদ্রাসার নামে দান করেন এবং উক্ত ভূমি মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নে কাজে না লাগায়  ওই এলাকার দুধঘাটা, দড়িগাঁও, নন্দিরচর ও চরবাটেরা গ্রামের আশে পাশে কোন হাট বাজার না থাকার ফলে উল্লেখিত গ্রামবাসীর সমন্নয়ে প্রতিদিন সকালে হাট বসায়। 

সম্প্রতি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ মো. আবদুর রহমান সরকারের উত্তরসূরি মাদ্রাসার সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন তাদের নিজ ভূমিতে মার্কেট নির্মাণ করে দিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাজারের দোকানীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে বাজারটি স্থানান্তর করে দেয় এবং দোকানীরা মাদ্রসার জায়গা ছেড়ে দিয়ে নতুন বাজারে চলে যায়। দোকানী রিপন, আক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কুদ্দুছ ও শাহিন সাংবাদিকদের বলেন পুরান বাজারটি মাদ্রসার জায়গায় ছিল। এখন মাদ্রাসার সভাপতি দেলোয়ার সাহেব আমাদেরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তাই আমার মাদ্রাসার জায়গা ছেড়ে দিয়ে নতুন বাজারে এসেছি। এখানেও আগের মত এলাকার সবলোক বাজার করতে আসে। শিক্ষার্থীরা বলেন প্রায় ১৫ বছর পর আমাদের মাদ্রাসার জায়গা থেকে বাজার  স্থানান্তর  হয়েছে তাই আমরা অনেক খুশি। 

মাদ্রসা সুপার মাওলানা ইব্রাহীম খলিল বলেন ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি দুধঘাটা গ্রামের মরহুম আলহাজ মো. আবদুর রহমান সরকার দুধঘাটা নুরে মুহাম্মদী (সা.) দাখিল মাদ্রাসা নামকরণ করে এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ৪১৫ জন শিক্ষার্থী ১১ জন শিক্ষক, ১ জন অফিস সহকারী ও ২ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রয়েছে। কিন্তু জায়গা স্বল্পতার কারণে আমরা সরকারের কাছ থেকে কোন ভবন পাইনি। এখন মাদ্রসার জায়গা থেকে বাজারটি স্থানান্তর করে দোকানীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আশা করি আগামীতে সরকারের কাছ থেকে নতুন ভবনসহ  অবকাঠামো উন্নয়ন সুযোগ সুবিদা পাব। 

মাদ্রাসার সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন দীর্ঘদিন পর হলেও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দোকানীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে মাদ্রসার জায়গাটি অবমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের অজপারাগা ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার চিন্তার করে আমার পিতা মরহুম আলহাজ আবদুর রহমান সাহেব এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন, আমিও আজ এই প্রতিষ্ঠানটির লেখা পড়ার মানোন্নয়নসহ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। 

এবিএন/কবির হোসেন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ