মেলান্দহে রেলওয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০১৯, ১১:৪৩
জামালপুরের মেলান্দহে রেলওয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ ছামিউল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ছামিউল ইসলাম মেঘারবাড়ি গ্রামের হাজী আবুল কাশেমের ছেলে।
এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে এবং ছামিউলের মুক্তির দাবি করেন বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী।
জামালপুর জিআরপি থানার ওসি তাপস চন্দ্র পন্ডিত জানান গতকাল রাতের অন্ধকারে রেলওয়ের দুটি একাশিয়া গাছ কর্তন করে। কর্তনকৃত গাছ দুটি স্থানীয় পৌরকাউন্সিলর মোসাব্বির হোসাইন শামীমের পুকুর পাড়ে রাখে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর শামীম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ২১ জুলাই রেলওয়ের পুলিশ ঘটনার তদন্তের জন্য এলাকায় যায়। এ সময় উশৃঙ্খল জনতা হট্রগোল করে তদন্তের কাজে বিঘœ সৃষ্টি করে। তবে প্রকৃত অপরাধীকে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্তের কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।
কাউন্সিলর মোসাব্বির হোসাইন শামীম জানান একটি কুচক্রি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য রাতের অন্ধকারে গাছ কর্তন শেষে আমার পুকুর পাড়ে রাখে। খবর পেয়ে রাতেই গাছকর্তনকারীদের সনাক্ত করি এবং প্রশাসনকে জানানো হয়। বিরোধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন পৌরসভার বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির জন্য ওই এলাকায় একটি কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। আমি জমিদাতা। এলাকার কতিপয় দুস্কৃতিকারি গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ পরিবেশ তৈরি করেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন এখানে কোন কারখানা হলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে। তাই কারখানা স্থাপন করতে দিবে না। তবে পরিবেশের বিপর্যয় রোধপূর্বক কারখানা স্থাপন হলে তাদের কোন আপত্তিও নেই বলে অনেকেই একমত হয়েছেন।
উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামীন, মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বিক্ষুব্দ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য আবু তাহের ঠিকাদার, আ. লীগ নেতা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মানিক প্রমূখ। উপজেলা প্রশাসন কোন নির্দোষীকে হয়রানি না করার আশ্বাস দেন।
এবিএন/মো. শাহ্ জামাল/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ