আজকের শিরোনাম :

বন্যায় হুমকির মুখে টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়ক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০১৯, ১৬:২১

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের শ্যামপুর ও ফুলতলায় নির্মিত নিম্নমানের ডাইভারসন বন্যার পানিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ এবং প্লাবিত হতে নতুন নতুন এলাকা।

এতে দূর্ভোগে পড়বেন লক্ষাধিক মানুষ। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পার্শ্ব বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে মূল বাসস্ট্যান্ড এলাকাও প্লাবিত হবে। বিঘœ হবে যান চলাচল।

সরেজমিনে শুক্রবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কে ১০টি ব্রীজ ও ১ টি কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ব্রীজগুলো ভেঙ্গে যান চলাচলের জন্য পাশেই ডাইভারসন বানানো হয়েছে। বাঁধের পশ্চিম পার্শ্বের গ্রামগুলো ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ব্রীজের ভাঙ্গা ইট ও আবর্জনা দিয়ে ডাইভারসন নির্মাণ করেছেনঠিকাদাররা।

ডাইভারসনের নীচ দিয়ে বন্যার পানি প্রবল বেগে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কয়েকটি ডাইভারসনের বাঁধ খুব নাজুক হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রী ও মালবাহী যানগুলো। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে একদিকে বন্ধ হয়ে যাবে যান চলাচল। অন্যদিকে কালিহাতী ও ঘাটাইল উপজেলার পূর্বাঞ্চলের অসংখ্য গ্রাম তলিয়ে যাবে।

টাঙ্গাইল থেকে ভূঞাপুরগামী জোবায়ের হোসেন নামের এক ট্রাক চালক বলেন, নি¤œমানের ডাইভারসনের বাঁধগুলো পানিতে নরম হয়ে গেছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা। ভূঞাপুর থেকে এলেঙ্গাগামী আসিফ মিয়া নামের বাস যাত্রী বলেন, ডাইভারসন যেকোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এছাড়া এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের পুরাতন ভূঞাপুর সড়কে দু’পাশের ড্রেন দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে রাস্তার উত্তর ও দক্ষিণ পাশের দোকানগুলোর সামনে বন্যার পানি জমেছে। বাসস্ট্যান্ডের শিউলী হোটেলসহ কয়েকটি দোকানের ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। রাতের মধ্যে আরো দোকানে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল এহসান ডাইভারসন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এখন আমাদের করার কিছুই নেই।


এবিএন/কামাল হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ