আজকের শিরোনাম :

জীবনযুদ্ধে হার না মানা জয়ীতার গল্প

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৯, ২১:১৬

জীবনযুদ্ধে হার না মানা জয়ীতার নাম বেবী বিশ্বাস। তিনি একদিকে যেমন সফল মা,কর্মক্ষেত্রের দক্ষ কর্মী,নিজেকে সফল করতে লড়ছেন আজো।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র ষ্টাফ নার্স বেবী বিশ্বাস। বাড়ি নড়াইল সদর। পিতা মৃত সন্নাসী বিশ্বাস, মাতা বাসন্তি বিশ্বাস। ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে সে ছোট। এ কারনে নামও রাখা হয় বেবী।

কাজের ফাঁকে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে, বলেন জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা,পথ চলা ও আত্মনির্ভরতার আত্মকাহিনী। ১৯৭৯ সালে বীড়গ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লেখা-পড়ার হাতে খড়ি,মাধ্যমিক পাশ করেন,শুকদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে১৯৮৭ সালে। এরপর নড়াইল সরকারী ভিকটোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ। ভর্তি হন যশোর নাসিং ইন্সেটিউটে। সফলতার সাথে পাশ করেন নাসিংয়ে।  

১৯৯৫ সালে বিয়ের পিড়িতে বসতে হয় বেবী বিশ্বাসকে। দাম্পত্য জীবনে ১৯৯৭ সালে তাদের কোল আলো করেন এক পুত্র সন্তান। ১৯৯৮ সালে চাকুরীতে যোগদান কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স হিসেবে। ২০০২ সালে তাদের ঘরে আসেন আরেক সন্তান। ২০১১ সাল বিধি বাম হন বেবী বিশ্বাসের।

অকাল মৃত্যু হয় স্বামী শুধাংশু শেখর গোস্বামীর। থমকে যান বেবী বিশ্বাস। জীবনের হিসাব কষতে থাকেন নতুন করে। চাকুরী সুত্রে বিশ্বাস তখন কোটচাঁদপুরের বাসিন্দা। ২ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে দিপ্ত গোস্বামী তখন অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। ছোট ছেলে সুপ্ত গোস্বামী ও পড়েন দ্বিতীয় শ্রেনীতে। চাকুরী থেকে যা পান তাই দিয়ে চলতে হয় বিশ্বাসকে। তবুও হার মানেননি জীবনে। ছেলে দুটিকে সু-শিক্ষিত করতে চেষ্টার অন্ত নেই তাঁর। বড় ছেলেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারীং এ এবং ছোটটাকে পড়াচ্ছেন নড়াইল সরকারী ভিকটোরিয়া কলেজে। এরমধ্যে নিজেও বসে নেই লেখা-পড়া থেকে।

ইতোমধ্যে পাশ করেছেন সরকারী বিএসসি ইন নাসিং কলেজ বগুড়া থেকে। এরপরও থেমে থাকেনি বেবী বিশ্বাস। ভর্তি হয়েছেন এমএসসি ইন নার্সিংয়ে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি শেষ বর্ষের ছাত্রী। আশাবাদী সফল হবার।

এবিএন/সুব্রত সরকার/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ