আদিতমারীর নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে
লালমনিরহাটে ১২ প্রভাষক অথচ গত তিন বছরও কেউ পাস করেনি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৯, ১৫:৪৯
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর কলেজ শাখায় ১২ জন প্রভাষক কর্মরত আছেন। কিন্তু টানা তিন বছর ধরে এইচএসসি পরীক্ষায় ওই কলেজ থেকে কেউ পাস করেনি। গত বুধবার ঘোষিত ফলাফলেও প্রতিষ্ঠানটির কেউ পাস করেনি। ফলে টানা তিন বছর ধরে সফলতার খাতায় শুন্য রয়েছে কলেজটি।
নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অফিস সুত্রে জানা গেছে, নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে কলেজ শাখা যুক্ত হয় ২০১২ সালে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি ৭ জন প্রভাষক নিয়োগ প্রদান করেন। এরপর চলতি বছরের শুরুর দিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ৫জন প্রভাষক নিয়োগ দেন এ প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখায়। এ নিয়ে মোট ১২ জন প্রভাষক কাগজ কলমে এ প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখায় পাঠদান করে আসছেন।
কলেজ শাখা প্রতিষ্ঠা থেকে প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। ২০১৪, ১৫ ও ১৬ সালে এক-দুইজন করে পাস করলেও ২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালের কেউ পাস করেনি। টানা তিন বছর ধরে ফলাফলের খাতায় শুন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালে ৩ জন, ২০১৮ সালে ৩জন ও ২০১৯সালে ২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য করেছে। ফলে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এমন অবস্থা কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঘনশ্যাম স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানেও চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কেউ পাস করেনি। লালমনিরহাটের এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে।
নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রশাসনিক প্রধান নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত দিনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক প্রধানের অবহেলায় কলেজ শাখার শিক্ষার মান নিম্নমুখি হয়েছে। তাই বিগত তিন বছরে কেউ পাস করেনি। তবে আগামী বছর তার প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করবে বলেও জোর দাবি জানান তিনি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজিজুল হক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি তাদের বিরুদ্ধে বিধিমত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ফলাফল শীট তার কাছে না থাকায় জেলার অংশ নেয়া পরীক্ষার্থী কিংবা ফলাফলের কোন তথ্য তার কাছে নেই বলেও জানান তিনি।
এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ