আজকের শিরোনাম :

টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হলো আরো ১০ গ্রাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৬

বানের পানির তীব্র স্রোতে শেষমেষ ভেঙে গেল টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সড়কটির বেশ কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকে যায়। এতে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে আরো ১০টি গ্রাম। ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। শহীদ সালাউদ্দীন সেনানিবাস বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের ১৮ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের সেনা সদস্যরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ এ বাঁধটি রক্ষার জন্য সেনা মোতায়েনের দাবি উঠছিলো বেশ কয়েকদিন ধরেই। সড়কটি ভাঙার আগে সেনা মোতায়েন করা হলে হয়তো এতো বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না। এতো মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হতোনা। এ জন্য প্রশাসনের দুর্বলতাকেই দায়ী করেছেন তারা। 

এ দিকে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম, তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বন্যার পানি প্রবেশ করে পৌরসভার টেপিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পানির স্রোত বইছে। তীব্র স্রোতে নদীর পানি প্রবেশ করায় ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। বন্যাকবলিত মানুষজন গবাদি পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি মাদরাসা ও ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ২০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে বানভাসি বেশিরভাগ মানুষ ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দ জানান বন্যাকবলিতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কটিতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া ভাঙন অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডও (পাউবো) কাজ করে যাচ্ছে।

টাঙ্গাইলের পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি আজ শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন অংশে ভাঙণরোধে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।

এবিএন/কামাল হোসেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ