পৌরসেবা বন্ধ, ভোগান্তিতে বনপাড়া ও বড়াইগ্রাম পৌরবাসী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৬:৪০
সরকারী কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার দাবীতে চলমান আন্দোলনে ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে গত রবিবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের সকল পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ, পানি, পয়নিষ্কাসনসহ সকল ধরণের নাগরিক সেবা। বিশেষ করে বর্জ অপসারণ ও সড়ক বাতি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসি।
আজ বৃহস্পতিাবার সরেজমিনে নাটোরের বনপাড়া ও বড়াইগ্রাম পৌরসভা পরিদর্শন করে দেখা যায়, যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। পথচারীরা নাকে রুমাল চেপে চলাচল করছেন। এবস্থার দ্রুত সমাধান না করলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে পৌর এলাকা। আবার রাতে সড়ক বাতি না থাকায় চলাচলে যেমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি চোরের উৎপাৎ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বনপাড়া পৌর বাজারের ব্যবসায়ী ইউনিক লাইব্রেরীর মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন, দোকানের সামনে ময়লার স্তুপ জমে যাওয়ায় দোকানে অবস্থান করা যাচ্ছে না। আবার ক্রেতারাও আসছেন না। দূর্গন্ধ আবার ধুলায় অসুস্থ্য হবার উপক্রম। তিনি সমস্যা সমাধানে বনপাড়া পৌর মেয়রের কাছে বিকল্প সেবা কামনা করেন। কালিকাপুর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক গ্যাব্রয়েল কস্তা বলেন, বাড়ির সামনের ডাষ্টবিনটা প্রায় ভরে গেছে। দূর্গন্ধে বাসায় থাকা যাচ্ছে না। এ অবস্থার দ্রুত অবসান প্রয়োজন।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নজমুল হক বলেন, সড়ক বাতি বিশেষ করে পৌর বাজার এলাকায় সড়ক বাতি বন্ধ থাকায় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে। অন্ধকারে অপরাধীরা যেকোন অপ্রিতিকর ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে।
বনপাড়া পৌর সচিব রেজাউল করিম বলেন, বেতন-ভাতার নিশ্চয়তার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চলছে। ব্যক্তিগত ভাবে নয় সার্বিক ভাবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। তবে সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে থাকায় সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুতই এর একটি সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।
এবিএন/আশরাফুল ইসলাম/জসিম/তোহা
এবিএন/আশরাফুল ইসলাম/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ