আজকের শিরোনাম :

চকরিয়ায় বন্যায় ৪০ হাজার বসতঘর ও বেড়িবাঁধে ব্যাপক ক্ষতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৩:২৩

টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কক্সবাজারের চকরিয়া। বন্যায় অন্তত ৪০ হাজার বসতঘর সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বন্যার পানিতে ৫৬শ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে সবজি ক্ষেত। শতশত একর জমির লবণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গ্রামীণ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে ১৯৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। 

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ১০ দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাাহড়ি ঢলে চকরিয়ার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বন্যায় ৪০ হাজার ১৬০টি বসতঘর নষ্ট হয়ে গেছে, ১৮টি ইউনিয়নে ১৯৫.৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙ্গে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চিংড়ি ঘেরসহ ব্যক্তিখাতে ৩ হাজার পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে ৫৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ৮শ ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। যার ফলে সাগরের পানি লোকলয়ে প্রবেশ করছে। বিএমচরের একটি মসজিদ মাতামুহুরী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন টানা বর্ষণ ও পাহাড় ঢলের কারণে চকরিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির একটি চিত্র জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে সঠিক একটি প্রতিবেদন তৈরীর করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে বলা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করণীয় নিয়ে একটি প্রতিবেদনও পাঠিয়েছি। 

মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আসলে গ্রামীণ সড়কগুলো দ্রুত মেরামতসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হবে।

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ