আজকের শিরোনাম :

চিরিরবন্দরে আলোকডিহি ইউপিতে জমে উঠেছে উপ-নির্বাচন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০১৯, ২০:৫৭

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন আগামী ২৫ জুলাই।  ২ জুলাই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষদিনে ৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ ও অন্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে যাঁদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত তরুণ সন্তোষ চন্দ্র রায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা মো. লিয়াকত আলী বেগ ওরফে লিটন, মো. শফিকুল ইসলাম এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তারিকুল ইসলাম তারিকের সহধর্মিণী মোছা. মাহ্মুদা ইসলাম শেফালী।

গত ৯ জুলাই প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিনে মো. শফিকুল ইসলাম তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে বাকি ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে তৎপর রয়েছেন। আগামী ২৫ জুলাই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রোদ-বৃষ্টির দিনেও প্রার্থীরা বসে নেই। তাঁরা কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। ফলে বেশ জমে উঠেছে নির্বাচন। কাক ডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রতিটি ওয়ার্ডেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্ব-স্ব কর্মীদের চোখে ঘুম নেই। ছুঁটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন ভোট ও দোয়া। হোটেল-রেস্তোরাঁয় চায়ের কাপে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

আলোকডিহি ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। এ উপ-নির্বাচনে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত তরুণ সন্তোষ কুমার রায় (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর্জা লিয়াকত আলী বেগ লিটন  (মোটর সাইকেল) এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তারিকুল ইসলাম তারিকের সহধর্মিণী মোছা. মাহ্মুদা ইসলাম শেফালী (আনারস) প্রতিক।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আলোকডিহি ইউনিয়নের কেন্দ্র সংখ্যা ৯টি ও বুথ সংখ্যা ২৮টি। ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৬৪৭ জন। এর মধ্যে মহিলা ৪ হাজার ৮৩৭ ও পুরুষ ৪ হাজার ৮১০ জন। প্রকাশ, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পঞ্চম ধাপে আলোকডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তারিকুল ইসলাম তারিক চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফলে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য হয়।

এবিএন/মো. রফিকুল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ