আজকের শিরোনাম :

ঝড়ে লন্ডভন্ড তালা ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, খোলা আকাশের নিচে ক্লাস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০১৯, ২০:৪৮

তালায় আকষ্মিক ঝড়ে মূহুর্তেই তছনছ করে দিয়েছে সেখানকার স্বাভাবিক পরিবেশ। শতাধিক বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ডজন খানেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ঝড়ের আগ্রাসী তান্ডবে।  

সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তালা ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটির ৩ টি প্রশাসনিক ভবনের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাডেমিক ভবনের ৪টি কক্ষ।  ভবনের পাশাপাশি মাদ্রাসার ১টি ল্যাপটপ, ৫টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টারসহ অফিসের জরুরী কাগজ-পত্র ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

শ্রেণী কক্ষ না থাকায় আজ মঙ্গলবার মাদ্রাসাটির প্রায় সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেছে খোলা আকাশের নীচে আমতলায়। এমন পরিস্থিতিতে উন্নয়ন বঞ্চিত মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা সংষ্কারে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে প্রতিবেদনকালে মাদ্রাসাটিতে গেলে দেখা যায়, উপরের চিত্র।  এসময় প্রথম থেকে ফাজিল পর্যন্ত প্রায় সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বাইরে খোলা আকাশের নীচে আমতলায় ক্লাস করতে দেখা যায়।  ভবন সংষ্কারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরুপে ভেঙ্গে পড়বে বলে আশংকা করেন সেখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকমহল।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফজল মো: নূরুল্লা এ প্রতিনিধিকে জানান, ১৯৭১ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা পরবর্তী সরকারের বার বার পট পরিবর্তন হলেও দৃশ্যত মাদ্রাসাটির উন্নয়নে কাজ করেনি কেউ। সারা দেশের ন্যায় তালার সামগ্রিক উন্নয়নের সোনালী সময়েও কার্যত উন্নয়ন বঞ্চিত থাকে মাদ্রাসাটি। তবে সেখানকার শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষার মান অন্যান্যদের তুলনায় বরাবরই ঈর্ষণীয়।

এসময় ক্ষোভ ও দু:খ প্রকাশ করে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এ.জেড.এম আবু বকর সিদ্দিক জানান, স্বাধীনতার বছরে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ভোট কেন্দ্র সংষ্কার কোটাতেও রাখা হয়নি মাদ্রাসাটিকে।

মাদ্রাসার প্রভাষক সুলতান আহম্মেদ জানান, বরাবর উন্নয়ন বঞ্চিত থাকলেও সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাদ্রাটিতে প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা ক্ষেত্রে বিদ্যাপীঠটি সাতক্ষীরার শিক্ষা উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও মাদ্রাসার উন্নয়নে এখন পর্যন্ত কেউ দৃশ্যত কোন ভূমিকা রাখেনি।

ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মাদ্রাসাটি ঝড়ের কবলে পতিত হওয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে মূলত নানা আশংকা জেঁকে বসেছে সেখানকার শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও অভিভাবকদের। কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি যতদ্রুত সম্ভব মাদ্রাসাটির আশু সংষ্কারে বরাদ্দ দেয়া হোক।

এবিএন/সেলিম/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ