আজকের শিরোনাম :

মদনে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০১৯, ১৩:২৯

সপ্তাহজুড়ে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মগড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নেত্রকোনার মদনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে। বিশেষ করে  বিশ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। চারটি মাধ্যমিক ও তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমনের বীজতলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পুরো উপজেলাবাসী বন্যার  আশষ্কায় আতংকে রয়েছে।  

সোমবার উপজেলার নিম্নাঞ্চলে সরজমিনে  গেলে, বালালী, বাঘমারা, হাসনপুর, বিয়াশি, দেওসহিলার কিছু অংশ, মাঘান গোবিন্দশ্রীরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করার দৃশ্য চোখে পড়ে। 

এ সময় ভুক্তভোগী বালালী গ্রামের আনিছ, ভুট্টু মিয়া, বাঘমারা গ্রামের ভিক্ষু, ওয়াসিদ, তাজুল ইসলাম, হাসপুর গ্রামের নরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, হাদিস মিয়া, নিপেন্দ্র, মদন ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার কাসেম, রাহিমা আক্তার, বাবুল  ও পৌরসভার কাউন্সিলর হক্কু মিয়া, মাসুদ রানা জানান সপ্তাহব্যাপি টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মগড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। নৌকা ছাড়া আমাদের যাতায়াতের বিকল্প নেই। আমাদের পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এবার বীজতলার অভাবে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। আমরা খুব দুরবস্থায় আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের নিকট কোন সরকারি সহযোগিতা আসেনি। 

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার সূত্রধর জানান গত কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে ধানকুনিয়া, খালাসিপাড়া ও কাইকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেক বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার হুমকির মুখে রয়েছে। 

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান আমার চারটি বিদ্যালয়ের চতুর দিকে পানি উঠে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাকার্যকম বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ে এখনও পানি প্রবেশ করতে পারেনি। 

মৎস্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আবরার জানান এ পর্যন্ত ১৬টি পুকুর ডুবে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। আরো বেশকিছু পুকুর ও ডুবা তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে রয়েছে।

তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আহমেদ জানান আমার এলাকায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি ৫/৬টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তবে পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে। 
 
উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান জানান উপজেলায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হওয়ার খবর পেয়েছি। শুকনা খাবারের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলেছি। 

এবিএন/তোফাজ্জল হোসেন/গালিব/জসিম 

 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ