ডোমারে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসবাস
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৩:১৩
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ২নং ওয়ার্ড টংবান্ধা গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্মরনকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ২০টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড়ে একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা উড়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড়ে সোনারায় ২নং ওয়ার্ড টংবান্ধা গ্রামের মো. আমিনুর রহমান, মমিনুর রহমান, মিজানুর রহমান, আউয়ুব আলী, নজরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, জহুরুল ইসলাম ও আব্দুস সালামের প্রায় ১৫টি ঘড় ঝড়ে সম্পর্ণরুপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
গত শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এই এলাকায়। প্রায় ২০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এখনো কোন সহযোগিতা পায়নি। এমনকি প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে তারা খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার বেশকিছু ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে যায় গাছপালা। ঝড়ের কারণে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুত লাইন। এ দিকে সরকারিভাবে কোন সহযোগিতা না আসায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো পরেছে বেকায়দায়।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো জানায় গত শনিবার রাতে আমাদের বাড়িঘড়গুলো ঝড়ে উড়ে যায়। সারারাত ভয়ে কাটিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কেউ আমাদের খোজ রাখেনি। শুধুমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ আমাদের খোজখবর করে আশ্বাস দিয়ে গেছেন সহযোগিতার জন্য।
ইউপি সদস্য তৈয়বুর রহমান বাবু জানান প্রশাসনকে সকালেই অবগত করা হলেও কেউ ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে আসেনি। তারা গরীব হওয়ায় বর্তমানে এই বৃষ্টিতেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমার সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।
চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান সকালে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর খোজ খবর নিতে সেখানে গেলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়। পানির মধ্যেই পরিবারগুলো বসবাস করছে। আমি তাদের স্কুল ও পরিষদে আপাতত আশ্রয় নিতে বলেছি।
এবিএন/মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ