আজকের শিরোনাম :

হাতীবান্ধায় ব্রেঞ্চের সাঁকো দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে পারাপার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৯, ১১:২৬ | আপডেট : ১৫ জুলাই ২০১৯, ১১:৩১

বন্যার পানি না হলেও গত সপ্তাহব্যাপী ভারি বর্ষণে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সদরে অবস্থিত একমাত্র প্রবীন নারী প্রতিষ্ঠান শাহ্ গরীবুল্যাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি জলাবদ্ধতায় প্রায় ৩ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে, শ্রেণীকক্ষসহ শিক্ষকদের লাইব্রেরী। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে। কমিটিসহ কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করেই যাচ্ছে।  

গতকাল রবিবার সকালে বিদ্যালয়টিতে সড়েজমিনে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ব্রেঞ্চ দিয়ে তৈরী অস্থায়ী সাঁকোর উপরে ভর করে বিদ্যালয়সহ শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে লক্ষ করা গেছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে পড়ালেখাসহ সকল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তবিবর রহমান বলেন গত কয়েক বৎসর যাবত বিদ্যালয়ের এ অবস্থা। বর্ষা এলেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে। বিদ্যালয়ের চারদিকে পানি নিষ্কাশনের পদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফলে দীর্ঘ প্রায় ৭/৮ বছর যাবত এ দুর্ভোগ লেগেই আছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করা হলেও আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কোয়েল অর্নব জানান হাতীবান্ধা একমাত্র নারী প্রতিষ্ঠান এটি। রহস্যজনক কারণে কেন তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না তা আমাদের জানা নেই। আমাদের বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ অফিসের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। বারবার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজবদী এর কোন সুরহা হয়নি। তাই আমাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ফিরে আসেন। 

প্রধান শিক্ষক আবেক প্রকাশ করে জানান উপজেলার নারী শিক্ষার মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি খ্যাতিয়ামান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট সকলেই দেখেও না দেখার ভান করে দৃষ্টি আড়াল করে চলছে। 

বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ থাকার কারণে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তীতে দাতা সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু দৈনিক অধিকারকে জানান পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছে, কিন্তু আজবদী ড্রেনটির কাজ শুরু করেন নি। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি তৈরী করা হলে বিদ্যালয়টিতে আর জলবদ্ধতা থাকবে না। 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার বলেন ড্রেন তৈরী করা হয়েছে রাস্তার পাশে যে সকল দোকানপাঠ বসেছে, তারাই ড্রেনটি বন্ধ করে দিয়েছে। 

শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী দ্রুত ড্রেনটি সংস্কার করে দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য জোর দাবি জানান। 

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ