আজকের শিরোনাম :

হত্যাকান্ডের মূল হোতা মিন্নি: রিফাতের বাবা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০১৯, ০০:৫৮

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডের মূল হোতা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। নয়নের সাথে মিন্নির বিবাহ হয়েছিল, তবে সেই বিবাহের বিষয়টি গোপন করে তার পরিবার এবং রিফাতের সাথে বিয়ে দেয় মিন্নির। তাই রিফাতের হত্যার বিচার পূর্ণ করতে মিন্নিকেও গ্রেফতারের দাবি জানান নিহত রিফাত শরীফের বাবা আব্দুল দুলাল শরীফ।

শনিবার রাত পৌনে ৮ আটটার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবী করেন তিনি।

এ সময় আব্দুল দুলাল শরীফ আরও বলেন, রিফাতের সাথে বিবাহ হওয়ার পরেও প্রতিদিন নয়ন বন্ডের সাথে মিন্নির যোগাযোগ ছিল। এমনকি মিন্নি প্রায়ই নয়ন বন্ডের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এ ছাড়াও রিফাতকে হত্যার সময় সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের গেটে মিন্নিকে রিফাত তার মটর সাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চায় তবে মিন্নি তখন সময় ক্ষেপন করে। আর তার মধ্যেই বন্ড গ্রুপ রিফাতকে মারধর করতে করতে কলেজের পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। সেই সময়ে মিন্নি স্বাভাবিক ভাবেই সেইসব দৃশ্য দেখতে থাকে এবং তাদের পিছনে হাটতে থাকে। পরে যখন রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী দা নিয়ে এসে নয়নের হাতে দিয়ে কোপাতে শুরু করে, তখন মিন্নি বাধা দিলেও তাকে কেউ আঘাত করেনি। এসব বিষয়ের কারনেই হত্যাকান্ডের মূল হোতা দায়ী করে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান রিফাত শরীফের বাবা আব্দুল দুলাল শরীফ।

উল্লেখ্য যে, গত ২৬ জুন (বুধবার) প্রকাশ্যে দিবালকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে কুখ্যাত নয়ন বন্ড গ্রুপ ধারলো রামদা দিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এর আগে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায়নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তার বাবা ও মামলার বাদী আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডের নতুন ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি ধারণা করছি, আমার ছেলেকে হত্যার পেছনে তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। মিন্নি যদি হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা না করে রিফাতকে জড়িয়ে ধরতো, তাহলে আমার ছেলে নির্মম হত্যার শিকার হতো না।’

দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আসামিরা মিন্নির ওপরে চড়াও হয়নি এবং মিন্নি কোনোভাবেই আক্রান্ত হয়নি। তার প্রশ্ন, কেন, মিন্নি কেন আক্রান্ত হয়নি?

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজের উপলব্ধি থেকেই সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছি।

রিফাত হত্যার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে অভিযুক্ত করলে মামলায় এর প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

এদিকে, গত ৯ জুলাই দেওয়া গণশাধ্যমে মিন্নি দাবি করেন, কিছু লোক আছে যারা বিষয়টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। আমি চরম মানসিক নিপীড়নে ভুগছি। কেউ আমাদের পাশে নেই, সবাই শুধু সমালোচনায় মুখর। আমি সবার সহযোগিতা চাই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক প্রসঙ্গে মিন্নি বলেন, বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য দেখেছি। মানসিকভাবে আমি বিধ্বস্ত। আমার অনুরোধ, আমি তো আপনাদের মেয়ে বা বোন হতে পারতাম, আপনারা না জেনে কোনও মন্তব্য করবেন না।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ