আজকের শিরোনাম :

চতুর্থ দিনেও বন্ধ বান্দরবানের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০১৯, ২০:২৫

বান্দরবানে টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা। আজ শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান শহরে সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার বালাঘাটা, হাফেজ ঘোনা, বাস স্টেশন এলাকা, ওয়াপদা ব্রিজ, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দেয়। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পৌরসভার পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে শুকনো খাবার ও খিচুরি দেয়া হলেও প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হচ্ছে না এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে, বান্দরবান্যে সাঙ্গু, মাতা মুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপদসীমার কয়েক ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি নিহত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত শুক্রবার রাতে পানি কিছুটা কমলেও ভোর রাত থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় তিনটি নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বান্দরবানের ১শত ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হলেও পরে আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১শত ৩৩টি। জেলা সদরের ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা উঁচু জায়গা ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন।

অন্যদিকে, বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় চতুর্থ দিনের মতো সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে ও ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের কারণে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এই বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, টানা এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বান্দরবানের সাত উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এবিএন/মোহাম্মদ আব্দুর রহিম/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ