খোকসায় আওয়ামী লীগ নেতা খুন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৮, ১৭:২০
খোকসা (কুষ্টিয়া), ১০ জুন, এবিনিউজ : কুষ্টিয়ার খোকসায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ১২ ঘন্টা পর ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতার বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি পুলিশ তৎপর হলে রাতে মেম্বরকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হত।
নিহতরে পরিবার ও ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাজেদ শনিবার ইফতারীর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। ভবানীগঞ্জ বাজারের এক কাঠ ব্যবসায়ীর সাথে তিনি ইফতার করেন। এরপর থেকে সে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকেরা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক নিখোঁজ মেম্বরের মোবাইল ফোনে কল করে কিন্তু ফোন রিসিভ হয় না।
অবশেষে রাতেই খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। নিখোঁজ মেম্বরের মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে পুলিশ রাতেই নিখোঁজ মেম্বরের লোকেশন নিশ্চিত হয়।
আজ রবিবার সকালে পাংশা উপজেলার মেঘনা খামার বাড়ির এলাকায় বস্তাবন্দি মৃতদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা গিয়ে মেম্বরের মৃতদেহ সনাক্ত করে। খোকসা ও পাংশা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে পাংশা থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিখোঁজ মেম্বর মৃতদেহটি পাটের সুতার তৈরী ব্যাগে ভরা ছিল। তার গলায় ডিস এন্টিনার তার পেচিয়ে শ্বাষ রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বস্তার মধ্যে মেম্বরের হাত-পা বাঁধা ছিল। তিনি তিনবার নির্বাচত ইউপি সদস্য ছিলেন। হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে আবার পূর্ব শত্রুতার জের হতে পারে। তিনিই নিশ্চিত করেন, রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে খোকসা থানা পুলিশ মেম্বরের মোবাইল ট্যাকিং করে লোকেশন নিশ্চিত হয় বলে তাকে জানিয়েছিল কিন্তু পুলিশ কেনো পদক্ষেপ নেয়নি সে প্রশ্ন তারও।
আজ রবিবার স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে বাববার মুরছা যাচ্ছেন নিহত মাজেদের স্ত্রী রহিমা খাতুন, তিনি স্বামীর হত্যার কারণ বলতে পারেন নি। পুলিশ লোকেশন নিশ্চিত হয়েও কি কারণে অভিযান করেনি এ প্রশ্ন নিহতের একমাত্র পুত্র রুবেল হোসেনের। তিনি রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের অফিসে আছেন, সেখান থেকে ফিরে বিস্তারিত জানাবেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রহমান- সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। পরে তার সরকারি মোবাইল ও টেলিফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তবে পাংশা থানার ওসি আহসান উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, মৃতদেহর ময়না তদন্ত ও তদন্তের পর হত্যার মোটিভ সম্পর্কে জানানো হবে। এবিএন/সুমন কুমার মন্ডল/জসিম/রাজ্জাক
আজ রবিবার স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে বাববার মুরছা যাচ্ছেন নিহত মাজেদের স্ত্রী রহিমা খাতুন, তিনি স্বামীর হত্যার কারণ বলতে পারেন নি। পুলিশ লোকেশন নিশ্চিত হয়েও কি কারণে অভিযান করেনি এ প্রশ্ন নিহতের একমাত্র পুত্র রুবেল হোসেনের। তিনি রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের অফিসে আছেন, সেখান থেকে ফিরে বিস্তারিত জানাবেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রহমান- সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। পরে তার সরকারি মোবাইল ও টেলিফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তবে পাংশা থানার ওসি আহসান উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, মৃতদেহর ময়না তদন্ত ও তদন্তের পর হত্যার মোটিভ সম্পর্কে জানানো হবে। এবিএন/সুমন কুমার মন্ডল/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ