আজকের শিরোনাম :

উপড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো চকরিয়ার ঘনশ্যাম বাজারের শতবর্ষী বটবৃক্ষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০১৯, ১৯:০০

টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিতে অবশেষে উপড়ে গেলো কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ঘনশ্যাম বাজারের শতবর্ষী বটবৃক্ষ। অব্যাহত বৃষ্টিপাতে বটবৃক্ষটির গাছের গুড়া নরম হয়ে গেলে বৃহস্পতিবার রাতের দিকে গাছটি উপড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। বটবৃক্ষটি পড়ে যাওয়ার খবর শুনে শুক্রবার সকাল থেকে বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে শতশত নারী-পুরুষ দেখতে ভীড় করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভার ৩নং ওয়াডের্র ঘনশ্যাম বাজারে শতবর্ষী বটগাছটির জন্ম। স্থানীয় লোকজনের পরিচর্যায় ছোট থেকে বাড়তে বাড়তে বটগাছটির বয়স দাঁড়ায় শতবর্ষে। এই বট গাছের নিচে বসতো বাজার। পৌর এলাকাসহ দুরদুরান্ত থেকে মানুষজন এসে এই বটগাছের নিচে বসা বাজার থেকে সাপ্তাহিক বাজার-সদায় করতো। আবার কেউ আসতো ছায়া নিতে। কেউবা গাছের মগডালে বসে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠতো। হঠাৎ বটগাছটি উপড়ে পড়ায় স্থানীয় মানুষের মাঝে আবেগের সৃষ্টি হয়েছে। বটগাছটির পড়ে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে হতাশা প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন। তুলে ধরেছেন বটগাছটিকে নিয়ে তাদের শৈশবের স্মৃতি।

প্রিন্স রাজ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী শতবর্ষী বটবৃক্ষটিকে নিয়ে মন্তব্য করে লিখেন, “আমার শৈশবের বহু স্মৃতি বিজড়িত ঘনশ্যাম বাজারের ভেতরে দুই শতবর্ষের পুরনো ঐতিহাসিক বটগাছটি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে উপড়ে যায়।  চাইলেও কি ভুলা যায় শৈশব স্মৃতি ? শৈশব থেকে আজ অবদি বেড়ে উঠার সাক্ষী ভালবাসার গ্চয়টি আজ মওে গেলো। অনেক মিস করবো গাছটিকে সেই সাথে মিস করি সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোকে। কতই না সুখের ছিলো সেই দিনগুলি।”

আজগর আলী নামের ৮০ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধ বলেন, আমার বয়স এখন ৮০ বছর চলছে। এই বটবৃক্ষটির নিচে আমার শৈশব কেটেছে। এই গাছের নিচে বসে কতই না দুষ্টমি করেছি। পছন্ড গরম পড়লে এই বটগাছই ছিলো আমাদের শীতল করার একমাত্র অবলম্বন। আমার ছেলে-নাতীরাও এই বটগাছের নিচে খেলা করেছে।   

চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বশিরুল আইয়ুব বলেন, এই গাছটির নিচে বসে আমার দাদা-নানা-বাবারা আড্ডা দিতো। একসময় এই বটগাছটির নিচে বসতো বিশাল বাজার। আমার শৈশব কেটেছে এই বট গাছটির নিচে। টানা ভারী বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে গাছটির গুড়া নরম হয়ে যাওয়ায় শতবর্ষী বটবৃক্ষটি উপড়ে যায়। সত্যিই খুব কষ্ট লাগছে।

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ