হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পর পাল্টে গেছে বিদ্যালয়ের নামফলক!
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০১৯, ০০:১৩
শরীয়তপুরে সখিপুরের দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের অবস্থিত কিরন নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। এই আদেশের ১ দিনের মাথায় বুধবার (১০ জুলাই) রাতে বিদ্যালয়ের সামনের নতুন নামফলক লাগিয়েছে দুর্বত্তরা।
এর আগে মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) এক রিটের শুনানিতে ৬ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমন খবরে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা সন্তষ্ট প্রকাশ করলেও রাতের আধারে নামফলক লাগানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কিরন নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে। শরীয়তপুর ২ আসনের সাবেক এমপি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব সফিকুর রহমান কিরন এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৮৫০ জন ছাত্র/ছাত্রী রযেছে। আর এদের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা ১৫ জন এবং বিদ্যালয়টির পরিচালন পরিষদের দায়িত্বে আছে ১২ জন সদস্য।
সাম্প্রতিক বিদ্যালয়ের নাম কিরন নগর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিবর্তে দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আবেদন করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পরিদর্শনে আসেন।
এরপর ৪ জুলাই বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে করে মন্ত্রনালয় একটি প্রঞ্জাপন জারি করে। এমতবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার হাইকোর্টে অবেদনের পর এই স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পর কিভাবে নাম পাল্টে গেছে আমার জানা নেই। কেউ হয়তোবা রাতের আধারে বিদ্যালয়ের নামের সাইন বোড খুলে নতুনটা লাগিয়েছে। বিধি বর্হিভুতভাবে নাম পরিবর্তনের বন্ধের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা হাইকোর্টের কপি পেয়েছি। কিন্তু কে বা কারা নতুন নামফলক লাগিয়েছে তা বলতে পারি না। আমি বিষয়টি জেনে জানাবো।
এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
এই বিভাগের আরো সংবাদ