আজকের শিরোনাম :

মাশরুম চাষে সাফল্য ফরিদপুরের সাথী আক্তারের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০১৯, ১৬:২৩

মাশরুম মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী, ঔষধিগুণে ভরপুর, এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সবজি জাতীয় ফসল। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর সে কারণে এটি সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

 মাশরুম চাষ আমাদের দেশের পুষ্টি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আর এই মাশরুম চাষ করে সাফল্য পেয়েছে ফরিদপুরের সাথী আক্তারসহ অনেক নারী। সাথী আক্তার পড়া লেখার ফাঁকে ফাঁকে শুরু করেন মাশরুম চাষ। মাশরুম চাষ করে সাফল্যও পেয়েছে তিনি। সাথীর সাফল্য দেখে অনেক গৃহিনীই মাশরুম চাষ করছেন, তারাও সাফল্য পেয়েছেন। আর মাশরুম চাষে, চাষিদের সবধরনের সহযোগিতার কথা জানালের হর্টিকালচারের কর্মকর্তারা।

ফরিদপুর শহরের দক্ষিন টেপাখোলা এলাকার সাথী আক্তার। গত ৭বছর মাশরুম চাষ করে ভাগ্যবদল করেছেন। নিজের আয় করা টাকা দিয়ে কিনেছেন এক খন্ড জমি। এখন স্বপ্ন ঐ জমিতে বাড়ি করার। লেখা-পড়ার পাশা-পাশি করেছেন মাশরুম চাষ। হয়েছেন স্বাভলম্বী। চলতি বছরেই ¯œাতক পাশ করেছেন। এখন স্বপ্ন একটি সরকারী চাকুরী। সাথীর উৎপাদিত মাশরুম স্থানীয় চাইনজ হোটেল, সুপারসপসহ শহরের বিভিন্ন হোটেলে বিক্রয় হচ্ছে।

স্থানীয় হর্টিকারচার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতে ২০১২সালে শুরু করেন মাশরুম চাষ। হর্টিকালচার থেকে ১২টাকা করে বীজ ক্রয় করেন। এ বীজ থেকে একটানা তিন মাস মাশরুম পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রতি মাসে মাশরুম বিক্রি করে তিনি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় করছেন। বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মাশরুম ২শ’ টাকা এবং প্রতিকেজি শুকানো পাউডার মাশরুম এক হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।

মাশরুম চাষি সাথী আক্তার বলেন, আমি মাশরুম চাষ করে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করেছি। জমিও কিনেছি। এখন বাড়ি করার স্বপ্না দেখছি। পাড়া-লেখার পাশা-পাশি আমি মাশরুম চাষ করে স্বাভলম্বী হয়েছি। আর এ কাজে সবসময় আমার মা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমার সাফল্য দেখে আশে-পাশের অনেক নারীই শুরু করেছেন মাশরুম চাষ। তারাও লাভবান হচ্ছেন। মাশরুম চাষে খরচ নেই বললেই চলে। সামান্য পরিশ্রম করলেই যে কোন মানুষ মাস ৬-৭হাজার টাকা আয় করতে পারে।  

হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহিদুল্লাহ বলেন, প্রথম দিকে এ জেলার মানুষের মাঝে মাশরুম নিয়ে বিরূপ ধারণা থাকলেও আমরা প্রশিক্ষণ ও পরার্মশ প্রদান করায় এলাকার অনেকেই এখন মাশরুম চাষে ঝুকছে। মাশরুম শতভাগ হালাল খাবার। মাশরুম চাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, পরামর্শ দিয়ে আসছি আমরা।

এছাড়াও মাশরুম চাষের জন্য বিনামূল্যে র‌্যাক প্রদান করা হয়েছে অনেক চাষীরা মাঝে। এখন অনেকেই মাশরুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এই চাষে কোন ঝুকি নেই। মাশরুম চাষ করে প্রতিমাসে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা আয়করা সম্ভব বলে জানালেন এক কর্মকর্তা।


এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ