আজকের শিরোনাম :

চকরিয়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০১৯, ১৪:২৫ | আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৯, ১৪:২৬

চারদিনের টানা বৃষ্টি ও মাতামুহুরী নদী বেয়ে উজান থেকে নেমে পাহাড়ি ঢলের পানিতে চকরিয়া উপজেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মাতামুহুরীর নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে বন্যা হওয়ার আশংকা রয়েছে।

চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন টানা বৃষ্টিতে পৌরসভার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। এসব পানি যাতে দ্রুত নেমে যায় সেজন্য পৌরসভার সমস্ত ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্ততি রয়েছে বলেও তিনি জানান। 

কাকারা, সুরাজপুর-মানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত ওসমান ও আজিমুল আজিম বলেন আমাদের দুটি ইউনিয়নেই মাতামুহুরী নদীর সাথে লাগোয়া। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যার আশংকা রয়েছে।

বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার বলেন চারদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গৌবিন্দপুর, পহরচাঁদা এলাকার বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ২০ হাজারেও অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান জানান ভারী বর্ষণের কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বৃষ্টির পানি যাতে লোকালয় থেকে দ্রুত নদীতে নেমে যায় সেজন্য স্লইট গেইটগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এলাকার খোঝখবর নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। 

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/গালিব/জসিম


 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ