বান্দরবানে মগ লিবারেশন পার্টি ও জেএসএস’র ৩ সদস্য আটক, কারাগারে প্রেরণ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৯:০৩
বান্দরবানে আলোচিত মগ লিবারেশন পার্টির সন্দেহভাজন এক সদস্য ও জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)এর ২ সদস্যকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। পরে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মগ লিবারেশন পার্টি সদস্য সন্দেহে ১জন ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সদস্য সন্দেহে নিরাপত্তা বাহিনী। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা আওয়ামী লীগ ও জনসংহতি সমিতির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করে।
আটককৃতরা হলেন- জেএসএস সন্দেহে ৯ নম্বর রাবার বাগান থেকে আটক খুকুমণি তংচঙ্গা ও বাঙ্গালহালিয়া এলাকা থেকে আটক মং থুইনু মারমা এবং মগ লিবারেশন পার্টি সন্দেহে বান্দরবান বাজার থেকে আটক মং ক্য চিং মারমা। তাদের বান্দরবান সেনা বাহিনীর সদর জন আটককের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা আওয়ামী লীগ ও জনসংহতি সমিতির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করে।
বান্দারবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি তদন্ত) এনামুল হক ভূইয়া বলেন, আটককৃতদের মধ্যে খুকুমণি তংচঙ্গা ও মং থুইনু মারমাকে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চ থোয়াই মং মার্মার হত্যাকাণ্ডে আসামি করা হয়েছে। অন্য দিকে জনসংহতি সমিতির সমর্থক বিনয় তঞ্চঙ্গা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামি করা হয়েছে মং ক্য চিং মার্মাকে। পরে আটককৃতদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানে মগ লিবারেশন পার্টি ও জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে এ পর্যন্ত রাজবিলা, কুহালং রোয়াংছড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় উভয় সংগঠনের ৬ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় জনসংহতি সমিতি জেএসএসের ১১ জন নেতাকর্মী জেলহাজতে রয়েছেন। খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্গম এলাকা থেকে অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া করে অবস্থান করেছেন এবং এ ঘটনায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন।
এবিএন/মোহাম্মদ আব্দুর রহিম/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ