আজকের শিরোনাম :

ঝালকাঠিতে অবৈধ লাইন্সেস সিন্ডিকেটের ১৩ সদস্য আটক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯, ১৮:৩২

ঝালকাঠি বিআরটিএ অফিস থেকে কয়েক বছর ধরে অবৈধপন্থায় লাইসেন্স বানিজ্যে লিপ্ত একটি সিন্ডিকেটের ১৩ জনকে সদস্য বুধবার দুপুরে আটক করে জেল জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধপন্থায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান সিন্ডিকেেটের প্রধান হোতা ঝালকাঠি বিআরটিএ অফিসের এডি আইউব আনসারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মন্ত্রণালয় ও মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এডি আইউব আনসারীর পক্ষে কতিপয় দালাল ভিবিন্ন মহলের কাছে দৌড়ঝাপ করতে দেখাগেছে।
 
এনডিসি মোঃ বসির গাজী জানান, বুধবার সকাল পৌনে ৮টায় তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিসে আসলে দুই ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে কারন জানতে চান। তার কক্সবাজার জেলা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য ঝালকাঠি বিআরটিএ অফিসে এসেছেন জানালে এনডিসির সন্দেহ হয়। তিনি অফিস কক্ষে ডেকে তাদের  কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা বলেন যে, তারা একই এলাকার আঃ হকের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কন্টাক্ট করেন ও সে অনুযায়ী আজ ফিংগার প্রিন্ট দেয়ার জন্য আসেন।
    
তাৎক্ষনিক তিনি  বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালালে, সেখানে ফিংগার প্রিন্ট দেয়ার জন্য লাইন দিয়ে দাড়ানো আরো ১০জন ও দালার আঃ হককে উপস্থিত পেয়ে সবাইকে তার কক্ষে আটক করে নিয়ে আসেন। তারাও জানায়, তারা একটি এজেন্সির মাধ্যমে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকার লাইসেন্স দেয়ার চুক্তিতে দালাল আঃ হককের সাথে ঝালকাঠি পাঠায়। এবিষয় জিজ্ঞাসাবাদে দালাল আঃ হক জানায়, ভোলা বিআরটিএ অফিসের এডি হিসাবে কর্মরত থাকার সময় আইউব আনসারীর সাথে ঘনিষ্টতার সুবাদে ঝালকাঠি যোগদানের পর তার সাথে লাইসেন্সপ্রতি ৮হাজার টাকা দেয়ার শর্তে এদের নিয়ে এসেছেন।
   
এনডিসি মোঃ বসির গাজী বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলীকে অবহিত করেন ও তার নির্দেশে বিআরটিএর এডি আইউব আনসারীকে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী, নবাগত অতিঃ জেলা প্রশাসক বিআরটি বিষয়ক জেলা কমিটির সভাপতি নাহিদা আক্তার ও এনডিসি বসির গাজী জেলা বিআরটিএর এডি আইউব আনসারীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এ জালিয়াতীতে জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেন। তবে অতিঃ জেলা প্রশাসক বিআরটি বিষয়ক জেলা কমিটির সভাপতি নাহিদা আক্তার ‘বিধিমোতাবেক আবেদন ফরমে তার স্বাক্ষর না নিয়ে কিভাবে ফিংগার প্রিন্ট নেয়া হচ্ছে’ জানতে চাইলে এডি তারকোন সদুত্তোর দিতে পারেনি।
     
এক পর্যায় এনডিসি ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বসির গাজী অবৈধ উপায় লাইসেন্স নিতে এসে আটক ১১ জনের জনপ্রতি ১০০০ টাকা করিয়া জরিমানা, মূল দালাল আঃ হককে  ছয় মাসের কারাদন্ড, বিশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১মাস কারাদন্ড ও এডি আইউব আনসারীর সহযোগী বিএম কলেজের ছাত্র হৃদয় কে সাত দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
   
ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত এডি আইউব আনসারী সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী জানান, যেহেতু এডি একজন সরকারী কর্মকর্তা। তাই তার বিষয়ে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রনালয় ও মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত সুপারিশ প্রেরন করা হবে।

এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ