ভূঞাপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯, ১১:৪৩
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে প্রতিদিন গৃহহীন হচ্ছে যমুনা পূর্ব পাড়ের মানুষ। যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সাত দিনের ব্যবধানে শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্বে চলে গেছে। প্রতিদিন গৃহহীন হচ্ছে অসংখ্য পরিবার।
এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাটসহ প্রায় চারশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনার ভাঙনের কবলে রয়েছে। ভূঞাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে যমুনা নদী তীরবর্তী চারটি ইউনিয়ন।
সরেজমিনে উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নের যমুনা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকায় কয়েকদিনে শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনা গর্বে চলে গেছে।
খানুরবাড়ি গ্রামের জাহিদ হাসান বলেন বিশ বছরের অধিক সময় ধরে এখানে বসবাস করছি। গত বছর বাড়ির কিছুটা অংশ ভেঙে গেছে। এ বছরও সম্পূর্ণ বাড়িঘর যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়ি হতে নদীর দূরত্ব ছিল প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এমন ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান সম্প্রতি যমুনা নদীর ভাঙনে খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া ও ভালকুটিয়া গ্রামের ব্যাপক ভাঙন শুররু হয়েছে। একদিকে অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন অন্যদিকে নদী শাসন বা খনন না করায় যমুনা নদীতে ভাঙন অন্য সময়ের তুলনায় এবার ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে যমুনা নদী ভাঙনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অর্জূনা ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া এলাকায় গাইড বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভাঙন এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। এরপর ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/কামাল হোসেন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ