রৌমারীতে মামলার বাদিকে ধর্ষণ

অবশেষে বিয়ের পিড়িতে সেই ধর্ষক পুলিশ কর্মকর্তা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০১৮, ১৮:২৭

রৌমারী (কুড়িগ্রাম), ০৯ জুন, এবিনিউজ : মামলার বাদিকে ধর্ষণ করা সেই পুলিশ কর্মকর্তা চান মিয়া অবশেষে ধর্ষিতাকে বিয়ে করেছেন। গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা রাজিবপুরের একটি বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের পিড়িতে বসেন তিনি। তবে এ বিয়ে কত দিন টিকবে তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষ। জনশ্রুতি রয়েছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তার আরও দুই প্রেমিকা, এক স্ত্রী ও ৩ সন্তান রয়েছে।

গত শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার কলেজপাড়াস্থ একটি বাড়িতে মামলার বাদি হাসনা বানু নামের এক গৃহবধুকে বিয়ের কথা বলে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে এসআই চান মিয়া। স্থানীয় বাসিন্দা ওই দারোগাকে আটক করে গণধোলাইও দিয়েছে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতার হাত থেকে দারোগাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাউয়ারচর গ্রামের আব্দুল হাকিমের কন্যা হাসনা বানু। হাসনা বানু কিছুদিন আগে তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ দায়ের করে থানায়। অভিযোগের তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই চান মিয়াকে। তদন্ত করতে গিয়ে চান মিয়া গৃহবধুর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নানা প্রলোভন দেখান।

মামলার বাদি হাসনা বানু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি থানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে বিয়ে করবে বলে কলেজপাড়াস্থ একটি বাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে আসে। কিন্তু বিয়ের আয়োজন না করে আমাকে ঘরে আটকে ধর্ষণ শুরু করে।’

কলেজপাড়ার বাসিন্দারা জানান, ওই দারোগা মেয়েটিকে নিয়ে সকালে খালি বাসায় ঢোকে। এরপর মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমরা গ্রামবাসি তাকে আটক করলে থানা থেকে পুলিশ এসে আমাদের মারধোর করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মতামত নেয়ার জন্য অভিযুক্ত এসআই চান মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার ফোন করা হয় কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

এবিএন/রফিকুল ইসলাম সাজু/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ