আজকের শিরোনাম :

ধুনটে ছাত্রদের চুল কেটে দিলেন শিক্ষক : পরীক্ষা বর্জন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০১৯, ১৬:০৫

বগুড়ার ধুনটে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে ঢুকে ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন দুই শিক্ষক। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে পরীক্ষা বর্জন করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা। শনিবার সকাল ১১টায় ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ষমধ্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ১০টায় ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর গনিত-১ ও দশম শ্রেণীর গনিত-২ পরীক্ষায় প্রায় ৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর অধাঘন্টা পরই শ্রেণীকক্ষে ঢুকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ও রিক্তা আক্তার মারধর করে প্রায় ৫০/৬০ জন ছাত্রের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন। তবে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দেওয়ায় ছাত্র ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবম ও দশম শ্রেণীর কয়েক ছাত্র জানায়, পরীক্ষা শুরুর অধা ঘন্টা পরই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ও রিক্তা আক্তার শ্রেণী কক্ষে ঢুকেই ছাত্রদের মারধর করতে থকে। এরপর এক এক করে প্রায় সকল ছাত্রের মাথার চুলই কেঁচি দিয়ে এক্যা ব্যাকা করে কেটে দিয়েছেন তারা। একারনে নবম ও দশম শ্রেণীর প্রায় সকল ছাত্রই পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয় ত্যাগ করেছে।

এবিষয়ে ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার নবম ও দশম শ্রেণীর কিছু ছাত্র নিয়মিত ক্লাসে আসে না। তারা বিদ্যালয়ের কোন নিয়ম কানুনও মানে না। অনেকদিন যাবত তাদেরকে মাথার চুল কেটে আসতে বললেও তারা কথা শোনে না। তাই পরীক্ষার হলেই তাদেরকে চুল কেটে দেওয়া হয়েছে।

তবে ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ্ হেল বাকী বলেন, এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।   
ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিন্নাহ্ জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা দুঃখ জনক। তাই এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, পরীক্ষার হলে ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দেওয়া হলে ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

এবিএন/ইমরান হোসেন ইমন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ